দোলের পাঁচদিন পর অনুষ্ঠিত হত এই দোল উৎসব ৷ যাকে বলা হয় ‘পঞ্চম দোল’৷ চাঁচলের হরিশচন্দ্রপুরে জমিদার বাড়িতে হয় অন্যরকম দোলযাত্রা ৷ আর জমিদার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে রঙয়ের উৎসব মেতে ওঠেন এলাকার মানুষজন ৷ সেদিনটায় জমিদার বাড়িতে অবারিত দ্বার ৷ বছরের আর পাঁচটা সময় দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরা জড়ো হল এ সময় ৷ হয় দেদার খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ-উল্লাস ৷ যেমন ছোট থেকে ফি বছর আসেন বাংলা ব্যান্ড ভূমির গায়ক সৌমিত্র রায় ৷ এই জমিদার পরিবারের সন্তান তিনি ৷
advertisement
হরিশচন্দ্রপুর জমিদার পরিবারের কুলদেবতা বলতে রাম-কানাই অর্থাৎ কৃষ্ণ এবং বলরাম ৷ সকলে মিলে কুলদেবতাকে রং মাখান ৷ চলে নাম-সংকীর্তন ৷ এই পরিবার বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী ৷ কুলদেবতাকে একটি পালকিতে করে গোটা গ্রাম পরিক্রমা করা হয় ৷
পালকিতে চাপেন গোপাল জিউও ৷ আর সেই উদ্দেশে বের হয় বিরাট শোভাযাত্রা ৷ সেই শোভাযাত্রায় থাকে পুতনা রাক্ষসীর মূর্তি ৷ এ বছরটায় যেমন রাতেরবেলায় বেরিয়েছিল সেই শোভাযাত্রা ৷ আরও একটি বিশেষত্ব হল এই বাড়ির দোলে শুধুই লাল রঙের আবিরই ব্যবহার করা হয় ৷
জমিদার পরিবারের সদস্য তথা বিশিষ্ট গায়ক সৌমিত্র রায় জানান, তাঁরা আনন্দ ও উল্লাসের সঙ্গে এই পরিক্রমা করে পঞ্চম দোল উৎসব পালন করে থাকেন। আবার এক বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। তাঁরা দোলের সময় একত্রিত হয়ে এই পঞ্চম দোল উৎসবে সামিল হন। এই দোলের শোভাযাত্রা বের করে থাকে তারা পুরো হরিশচন্দ্রপুর পরিক্রমা করে দোল খেলায় মেতে ওঠে। এর পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা এই দোল যাত্রাকে উপভোগ করে।
ছবিগুলি: দেবমাল্য দাসের তোলা ৷
