TRENDING:

পঞ্চম দোলে হরিশচন্দ্রপুর জমিদার বাড়ির কুলদেবতাকে পালকিতে চাপিয়ে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হরিশচন্দ্রপুর: এ দিন স্বর্গরাজ্য থেকে দেবতারা সবাই নেমে আসেন এই বাড়ির উঠানে। তারপর শুরু হয় রাজসিক দোল খেলা। পলাশ ফুলের রঙ আর আবিরে একে অপরকে রঙিন করে তোলেন। চাঁচলের হরিশচন্দ্রপুরে পঞ্চম দোলযাত্রা মহিমা এমনই ৷
advertisement

দোলের পাঁচদিন পর অনুষ্ঠিত হত এই দোল উৎসব ৷ যাকে বলা হয় ‘পঞ্চম দোল’৷ চাঁচলের হরিশচন্দ্রপুরে জমিদার বাড়িতে হয় অন্যরকম দোলযাত্রা ৷ আর জমিদার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে রঙয়ের উৎসব মেতে ওঠেন এলাকার মানুষজন ৷ সেদিনটায় জমিদার বাড়িতে অবারিত দ্বার ৷ বছরের আর পাঁচটা সময় দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরা জড়ো হল এ সময় ৷ হয় দেদার খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ-উল্লাস ৷ যেমন ছোট থেকে ফি বছর আসেন বাংলা ব্যান্ড ভূমির গায়ক সৌমিত্র রায় ৷ এই জমিদার পরিবারের সন্তান তিনি ৷

advertisement

হরিশচন্দ্রপুর জমিদার পরিবারের কুলদেবতা বলতে রাম-কানাই অর্থাৎ কৃষ্ণ এবং বলরাম ৷ সকলে মিলে কুলদেবতাকে রং মাখান ৷ চলে নাম-সংকীর্তন ৷ এই পরিবার বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী ৷ কুলদেবতাকে একটি পালকিতে করে গোটা গ্রাম পরিক্রমা করা হয় ৷

advertisement

পালকিতে চাপেন গোপাল জিউও ৷ আর সেই উদ্দেশে বের হয় বিরাট শোভাযাত্রা ৷ সেই শোভাযাত্রায় থাকে পুতনা রাক্ষসীর মূর্তি ৷ এ বছরটায় যেমন রাতেরবেলায় বেরিয়েছিল সেই শোভাযাত্রা ৷ আরও একটি বিশেষত্ব হল এই বাড়ির দোলে শুধুই লাল রঙের আবিরই ব্যবহার করা হয় ৷

advertisement

জমিদার পরিবারের সদস্য তথা বিশিষ্ট গায়ক সৌমিত্র রায় জানান, তাঁরা আনন্দ ও উল্লাসের সঙ্গে এই পরিক্রমা করে পঞ্চম দোল উৎসব পালন করে থাকেন। আবার এক বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। তাঁরা দোলের সময় একত্রিত হয়ে এই পঞ্চম দোল উৎসবে সামিল হন। এই দোলের শোভাযাত্রা বের করে থাকে তারা পুরো হরিশচন্দ্রপুর পরিক্রমা করে দোল খেলায় মেতে ওঠে। এর পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা এই দোল যাত্রাকে উপভোগ করে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চিনি-গুড়ের রসে তো অনেক হল! রসগোল্লায় এবার মিলছে কাঁচা লঙ্কার ঝাল স্বাদ
আরও দেখুন

ছবিগুলি: দেবমাল্য দাসের তোলা ৷

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
পঞ্চম দোলে হরিশচন্দ্রপুর জমিদার বাড়ির কুলদেবতাকে পালকিতে চাপিয়ে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম