মায়ের মূর্তিতে রঙের পোঁচ পড়েছে... পাখিরা বাড়ির কড়িবরগায়, ঠাকুরদালানের আনাচেকানাচে বাজছে আগমনীর সুর.. ৭০ বছর আগে এই ঠাকুরদালানেই পুজো শুরু করেছিলেন বেচারাম পাখিরা। কিন্তু একদিন হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় মা দুর্গার পুজো। কী কারণে তা কেউ জানেন না। কিন্তু উমা এ বাড়ির মায়া ছাড়তে পারেননি বোধহয়। ২১ বছর আগে এক শরতের ভোরে পাখিরা বাড়ির বউমা স্বপ্নাদেশ পান।
advertisement
সেই থেকে পুজো এলেই তারকেশ্বরের নারায়ণপুর পাখিরা বাড়ি মেতে ওঠে আয়োজনে। শুরুতে শুধুই লক্ষ্মী-সরস্বতীর পুজো হত পাখিরা বাড়িতে। সেসময় পুজোর দিনগুলোয় ঠাকুরদালানে গানের আসর বসত। অনুষ্ঠানে আসতেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণদাস বাউলের মত ব্যক্তিত্বরা ৷ সে প্রথা অবশ্য এখনও বজায় রেখেছেন পাখিরা বাড়ির সদস্যরা। মহালয়ের আগে থেকেই আত্মীয়-স্বজনরা জড়ো হতে শুরু করেছেন... চলছে নাচ-গানের মহড়া।
পুজো নিয়ে পাখিরা বাড়ির কোণায় কোণায় হাজারো ইতিহাস। সেই স্মৃতি আঁকড়েই বছর বছর উমার আরাধনায় মাতে পাখিরা বাড়ি ৷
