বাঁকুড়ার জয়পুরের রাহা পরিবারের পুজো শুরু ২৬০ বছর আগে। বর্ধমান রাজ পরিবারের তালুকদার ছিলেন রাহাদের পূর্ব-পুরুষ। প্রথমে পদবী ছিল পাঁজা। পরে কোনওভাবে রাহা। পরিবারের সদস্য দীপঙ্কর রাহা বললেন, ‘‘হাতের পাঞ্জা দিয়ে টাকা পয়সা লেনদেন হত সেখান থেকে পাঁজা। পরে রাহা ৷’’
চার পুরুষের পুজো। জমিদারি জৌলুস বজায় রাখতে পুজো শুরু হয়। যাত্রাপালা, পালা গানে মজত ঠাকুরদালান। পরে মন্দির তৈরি করে পুজো হয়। মন্দিরে আজও প্রাচীন টেরাকোটার কাজ অটুট। নাটমঞ্চ, রাশমঞ্চ, গিরি গোবর্ধন মন্দিরের গায়ে বয়সের আঁচড়। এখানে উমা আসে পালকিতে। নিয়ে আসেন পরিবারের মহিলারা। ধূপ-শাঁখ-উলু-বাদ্যিতে দেবীর অর্ভ্যথনা হয়। সেজে ওঠে মন্দির। শিকড় আঁকড়ে বাড়ি ফেরে রাহা পরিবারের অনেকেই।
advertisement
পুজো এলেই ঠাকুরদালানে পুরোন সেই দিনের কথা.... ভুলতে না পারা স্মৃতির লতাপাতা। রাহা বাড়ি যেন বারবার বলতে থাকে, আবার এসো... ফিরে এসো..৷