‘মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলি বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাব
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে’
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতায় মাঝি নাদের আলি কথা রাখেনি। তবে কথা রাখছে উন্নয়নী সংঘ। প্রতিমা হাজির ইতিমধ্যেই। এখানে দুর্গা মায়ের বসত ঘরে পদ্মভ্রমর খেলা করে। মণ্ডপে ঢোকা থেকে প্রতিমা পর্যন্ত পদ্মে সাজানো। যে পদ্ম এখন সাদা। আলোর কারিকুরিতে পদ্ম লাগবে রঙ। পাপড়ির ভাঁজে খেলবে ভ্রমর। মণ্ডপ জুড়ে তারই ব্যস্ততা।
advertisement
ভারতের জাতীয় ফুল। হিন্দু ছাড়াও অন্য ধর্মে আরাধনায় পদ্ম চাই-চাই। রামায়নেও পদ্মফুলের অপার মহিমা। সব মিলিয়ে পদ্মের সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। শুদ্ধতার আর শান্তির চিহ্ন বহন করে শতদল। উন্নয়নী সংঘের মণ্ডপে তেমনি সহস্র শতদলের সমাহারে শান্তির খোঁজ। চোখের আরাম।
৬৯ বছরে পা দিয়েছে পুজো। ফোম, থার্মোকল, রাংতা, ঝাঁটার কাঠি, হ্যান্ডমেড পেপার, তার, ওড়না দিয়ে কাজ করছেন শিল্পীরা।
হিংসা-হানাহানি নয়, বরং শান্তি আর সম্প্রীতি। শুদ্ধ থাকুক মন। শান্ত থাকুন শতদলে। সঙ্গী ভ্রমরে রঙিন এক জীবন।