রং-তুলি, ক্যানভাসেই দিনযাপন। ছোট্ট থেকেই মনটা উড়ু উড়ু। লেখাপড়ায় মন থাকলেও, স্বপ্নরা বাসা বাঁধত কল্পনায়। কল্পনার রংয়ে ভরে উঠত সাধের ক্যানভাস । আজ স্বপ্ন সফল পৌলমী গুহর। তাঁর একার কাঁধে এবার উমার সংসার সাজানোর গুরুদায়িত্ব।
পৌলমীর হাত ধরেই আধুনিক হচ্ছে সাবেক ভবানীপুর সর্বজনীন। উন-নব্বইতম বছরে প্রথম থিমের তালিকায় নাম লেখাল দক্ষিণ কলকাতার ঐতিহ্যের পুজো। বাবা-মা চাননি মেয়ে শিল্পী হোক। তাই আর আর্ট কলেজে পড়া হয়নি। আক্ষেপ বুকে আঁকড়েই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানির স্নাতক পৌলমী ইনটেরিয়র ডিজাইনিং-য়ের প্রশিক্ষণ নেন। শিখে ফেলেন গ্রাফিকসের কারিকুরিও। গড়ে তোলেন নিজস্ব রং-তুলির সংসার। তিনবছর বিভিন্ন থিম মেকারদের সঙ্গে কাজ করার পর এবারই প্রথম স্বাধীনতা।
advertisement
পৌলমীর থিম এবার পদ্ম। মণ্ডপের ভিতর-বাইরে ছোট-বড় পদ্মের কোলাজ। প্লাইউডের উপর থার্মোকল, রেকসিন, কাগজের জাদুতে রঙিন ইনস্টলেশন। তবে এ পদ্ম রাজনীতির নয়। নেহাতই শান্তির প্রতীক। দাবি উদ্যোক্তাদের।
মূর্তি তৈরি করছেন সনাতন রুদ্র পাল। থিমের খুঁটিনাটি তৈরিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছে পৌলমীর টিম ‘ বিয়ন্ড দ্য ব্রাশ’। সব তো শুরু। নোয়াপাড়ার চব্বিশ বছরের উমার চোখে এখন আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন।
