তবে পুজো হলেও মঙ্গলবার কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকাতে। তার জন্য কড়া নজরদারি রাখবে পুলিশ গোটা কালীঘাট মন্দির চত্বরে।
প্রত্যেক বছরই নববর্ষের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পা রাখার জায়গা থাকে না কালীঘাট মন্দিরে। মন্দির কমিটির পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর ৪ লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছিল নববর্ষকে কেন্দ্র করে। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াই ঠিক। আমরা কোনভাবেই মন্দির চত্বরে কোনও জমায়েত করতে দিচ্ছি না। মঙ্গলবার অন্যান্য দিনের মতোই নিয়ম মেনে মা কালীর পুজো হবে।’
advertisement
অন্যদিকে কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন মিষ্টি ও ডালার দোকানগুলির মালিকদের কার্যত মাথায় হাত পড়েছে লকডাউনের ফলে। অনেক ডালা ব্যবসায়ী নববর্ষকে মাথায় রেখে লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু এবছর লকডাউন এর জন্য মাথায় হাত এই ব্যবসায়ীদের। লকডাউন কাটিয়ে কিভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবেন তা নিয়েই সন্দিহান তাঁরা।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার মন্দির চত্বরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না এই আশঙ্কাতে সোমবারই কয়েকজন ব্যবসায়ী হালখাতা মন্দিরের গেট এই ছুঁয়ে পুজো সারলেন। এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘মন্দিরে ঢুকতে পারলাম না। কিন্তু গেটে হালখাতা ছুঁয়ে গেলাম এটাই আমার মানসিক শান্তি।’
SOMRAJ BANDOPADHYAY