জঙ্গল ঘেরা রাজপ্রাসাদ। রাজস্ব ও রাজ্যরক্ষায় গুপ্তপথ তৈরি করেন ঝাড়গ্রামের রাজা নরসিংহ মল্লদেব। গুপ্তপথে অতর্কিত হামলায় বহু যুদ্ধও জয় করেন মল্লরাজ। তবে যাদের হারিয়ে মল্লদেবের এত প্রতিপত্তি, সেই শবরপতি নন্দ ভুক্তা আবিষ্কার করে ফেলেন সেই পথ। সেখান থেকেই গল্পের শুরু। রাজার হারিয়ে যাওয়া হাতির খোঁজ মেলে গুপ্তপথের সামনে। গাছের লতাপাতা দিয়ে বাঁধা রাজহস্তি। মল্লদেব বোঝেন, শবরপতি নন্দ ভুক্তা হদিশ পেয়ে গিয়েছেন গুপ্তপথের। তখনই সন্ধির কৌশল। যদিও এ গল্পে জড়িয়ে যায় স্বপ্নাদেশের মিথ।
advertisement
বুদ্ধিমান রাজা জঙ্গলের ওই গোপন পথ রক্ষার দায়িত্ব দেন শবরদেরই। বীর শবররাই বুক দিয়ে আগলে রাখেন রাজমহল। সেই থেকে শুরু গুপ্তমনির পুজো। এখানে পুজো হয় পাথরের। যে পাথর আড়াল রেখেছে গুপ্তপথের। ওই পাথরের উপরই ঘট বসিয়ে হয় পূজার্চনা। এই মন্দিরে চন্ডীপাঠ হয় না। যে যেভাবে পারেন , সেভাবেই পুজো দেন। মন্দিরে জ্বলে শুধুই মোমবাতি আর প্রদীপ। স্থানীয়দের দাবি , মন্দিরের ভিতর বহুবার বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হলেও,টেকেনি তা। প্রাচীন মন্দিরের শরীর জুড়ে নানা পৌরাণিক ছবি। রহস্যে ঢাকা গুপ্তমনিতে এখন আগমনীর সুর।
