#কলকাতা: ছেলেবেলায় ভূতের রাজা বর দিল, অপুর সঙ্গে অবাক হতে শেখে আপামর বাঙালি হৃদয়। কৈশোরে পা দিতে না দিতে, হাত ধরেন ফেলুদা। অভিযানের পথে, জন অরণ্য-র মধ্যে দিয়ে, চারুলতার দূরবীন এর লেন্স দিয়ে নতূন রূপে দেখা কাঞ্চনজঙ্গা... বাঙালির সব অনুভূতির সঙ্গী সত্যজিৎ রায়। ১০০ তম জন্মদিনে তাঁকে নিউজ 18 বাংলার শুভেচ্ছা।
advertisement
থমকে গিয়েছে জনজীবন। প্রকৃতি যেন রুখে দাঁড়িয়েছে মানবজাতির বিরুদ্ধে। তিনি থাকলে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর ভাবনা-চিন্তা করতেন হয়ত। তাঁর সৃষ্টিতেও ছাপ পড়ত। লকডাউন নিয়ে ছবি হয়ত বানাতেন না। তবে এই সংকট, দাগ কেটে যেত তাঁর মনে। এসব কি হত তিনি থাকলে? সত্যিই কি তিনি নেই? ১০০ বছরে পা দিলেন সত্যজিৎ রায়। সিনেপ্রেমীদের মনে এখনও তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি।
তাঁর জন্মদিনে বাড়িতে বহু লোক আসেন। ভিড় করেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন যাঁরা, তাঁর ভক্তরা, এই দিনে সত্যজিৎ বাবুর বাড়ি তাঁদের অবারিত দ্বার। পথের পাঁচালীর পরিচালককে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন তাঁর গুণমুগ্ধরা। ১০০ বছরের জন্মদিনে অনেক পরিকল্পনা ছিল। বড় করে সেলিব্রেশন প্ল্যান করা হয়েছিল। লকডাউনের জেরে সবই ভেস্তে গিয়েছে। তবে গৃহবন্দি থাকাকালীন সত্যজিতের পরিবার খুঁজে পেয়েছে তাঁর বহু পুরনো ছবি, নেগেটিভ- যা নিয়ে পড়ে প্রদর্শনী করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের।
রাস্তাঘাট ফাঁকা। ফাঁকা বিশপ লেফ্রয় রোড। যেখানে আজকের দিনে বসতো চাঁদের হাট। আজ একাকী সেই বিখ্যাত রায়বাড়ি । সেখানে জন্মদিন পালন হচ্ছে আজ, তবে ছোট করে। সত্যজিৎ আজ আমাদের মধ্যে থাকুন আর না-ই থাকুন, পথের পাঁচালী, প্রতিদ্বন্দ্বী, গুপিগাইন বাঘাবাইন, সোনার কেল্লা-র স্রষ্টা চিরকাল থেকে যাবে বাঙালির মননে।