নবদ্বীপ হালদার। হাসির রাজা। উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমায় তাঁর অভিনয় আজও বাঙালির মুখে মুখে ফেরে। ভাঙা গলা আর দুরন্ত টাইমিং। এই ছিল তাঁর কমেডির ইউএসপি। শিল্পীর জন্ম উনিশশো এগার সালে, পূর্ব বর্ধমানের সোনাপলাশি গ্রামের বর্ধিষ্ণু পরিবারে। গ্রামেই পড়াশোনা। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল থেকে পাশ করার পর পরিবারের সঙ্গে কলকাতা পাড়ি। তবু গ্রামের সঙ্গে ছিল অটুট সম্পর্ক। নিয়মিত আসতেন গাজন, দুর্গাপুজোয়। কলকাতা থেকে দল এনে যাত্রাপালায় অভিনয়ও করতেন। শোনাতেন হাস্য কৌতূক।
advertisement
সেসব দিন আজ সোনালি অতীত। পুরোনরা মনে রাখলেও, নতুনদের কাছে প্রায় অপরিচিতই শিল্পী। সোনাপলাশিতে নবদ্বীপ হালদারের বাড়ি এখন আগাছার জঙ্গল। ভগ্নস্তূপ জুড়ে বট অশ্বত্থ। আজকের প্রজন্মের সঙ্গে নতুন করে শিল্পীর পরিচয় করাতে এবার পুজোয় শুধুই নবদ্বীপ হালদার। গ্রামের পাঁচটি বারোয়ারিতে দু-বেলাই বাজবে শিল্পীর হাস্যকৌতুক। সোনাপলাশি চায়, উমার হাত ধরে ফিরুক ঘরের ছেলের স্মৃতি। গ্রামে তৈরি হোক কিংবদন্তীর স্মৃতিশৌধ।