এতো গেল পুজোর কথা। এবার মা আসছেন ঘোটকে। যাবেন ও ঘোটকে। কৈলাস থেকে মর্ত্য। অনেকটা রাস্তা। বাহন সিংহ থাকলেও শাস্ত্রমতে উমা কিন্তু এই রাস্তাটা কিছু না কিছু চড়েই আসেন। আবার অন্য কিছু চড়ে ফিরে যান। শাস্ত্রমতে, দুর্গার আসা-যাওয়ার উপরে সময়ের ভাল খারাপ সব জড়িয়ে। পঞ্জিকা মতে, ২০১৯ সালে, দেবীর আগমন হচ্ছে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে যার ফল হল ছত্রভঙ্গ । দেবীর গমনও হচ্ছে ঘোড়ায় চড়ে পণ্ডিতরা বলছে, এর থেকে দুর্যোগ আসার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংসারিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা প্রকাশ পায়। তাই এবার মা আসার আগেই বন্যায় ভাসছে দেশের বেশ কিছু জায়গা। রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিও বেশ জটিল হচ্ছে। তবে তার মাঝেও মা আসবেন। আর মায়ের আসার আনন্দে আমরা সবাই মেতে উঠবো। সাজবো রঙিন পোশাকে। বাঙালির নানা রকম ভোজে সেজে উঠবে খাবারের পাত। রেস্তোরাঁর সামনে হবে লম্বা লাইন। আর মা কে দেখার জন্য এদিক ওদিক প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাড়বে মানুষের ভিড়। এর মাঝেই আবার উঁকি দিয়ে যাবে কৈশরের প্রেম। পুজো মানেই প্রেম প্রেম গন্ধ। শিউলি ফুলে ভর করে ভেসে আসবে বাতাসে। কেউ লুকিয়ে যাবে ঠাকুর দেখতে। কেউ আবার একটু উষ্ণতার জন্য পাড়ার পুজো মন্ডপেই কাটিয়ে দেবে গোটা দিন। কারও কাছে আবার এই পুজোতেই পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে। অষ্টমীর অঞ্জলী দিতে দিতে কারও মন চুরি যাবে। মা ছাড়া আর এই চুরি যাওয়া মনের খবর কেউ জানবে না। কারণ মনে মনে মাকেই তো বলতে হবে, "একটু দেখো মা দুগ্গে।"
advertisement
আজকের দিনে ঠিক এক মাস পরে সপ্তমী। তখন আপনার মন থেকে, সামাজিক পরিবেশ সব কিছুতেই ঘটবে পরিবর্তন। মন অকারণে গান গেয়ে উঠবে। কারণ মা আসার আনন্দে মনও যে হবে পাগলপারা। আবেগ, ভালবাসা, পুরনো স্মৃতিতে এই সময়টা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে থাকে অসীম স্নেহে। তাই পুজো মানেই এক রাশ হাসি। এক গুচ্ছ ছড়া। কার্তিক, গণেশ কিংবা সরস্বতী।
বাকি পুজোর দিন গুলো এক নজরে:
৬ অক্টোবর (১৮ আশ্বিন) রবিবার- মহাষ্টমী। অষ্টমীর রাত ১:৫৬ মিনিটে সন্ধিপুজের সময় শুরু হচ্ছে। আর শেষ হচ্ছে রাত ২:৪৪ মিনিটে। ৭ অক্টোবর (১৯ আশ্বিন) সোমবার - মহানবমী। ৮ অক্টোবর (২০ আশ্বিন) মঙ্গলবার - বিজয়া দশমী
