উনিশ শতকের বিখ্যাত বাঙালিদের মধ্যে অন্যতম নীলমণি মিত্র। প্রথম বাঙালি যিনি রুড়কি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেন। পাঁচ প্রজন্ম আগে নীলমণি মিত্রর নাতি রাধাকৃষ্ণ মিত্রের হাতে দুর্গাপুজো শুরু হয় মিত্রবাড়িতে। পুজো শুরুতেও রয়েছে ইতিহাস।
তেচালায় মাতৃমূর্তি। পিছনে মঠচৌড়ি। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতীর পিছনে তিনটি অর্ধবৃত্ত। কোঁচানো ধুতিতে কার্তিক, গণেশ।
মিত্রবাড়ির পুজোয় কোনও রান্না করা ভোগ হয় না । বিশেষভাবে তৈরি মাখনের নৈবেদ্য দেওয়া হয় উমাকে। দেওয়া হয় কুল-আমের আচারও।
advertisement
সরস্বতী পুজো থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। বাড়িতেই বসে ভিয়েন,নবমী-দশমীতে প্রতিমা প্রদক্ষিণ এ বাড়ির রীতি।
সন্ধিপুজোয় একশ আট পদ্ম সঙ্গে একশ আট অপরাজিতা, সবশেষে পান পাতার শিরা দিয়ে তৈরি খিলি। ঠিক যেন ঝাড়বাতি। আদরের নাম ঝাড়খিলি। ফুলের পাপড়ির আকারে চারপশে সাজানো নানা মশলা। পান মুখে উমাকে বিদায় জানায় মিত্রবাড়ি। খালি পায়ে ধুতি, পাঞ্জাবি , গলায় উড়নি, হাতে ছড়ি নিয়ে বিসর্জনে যান পরিবারের পুরুষরা। ফের এক বছরের অপেক্ষা....শুরু প্রস্তুতিও।
