টানা চোখ। একচালায় সাবেকিয়ানা। মুকুটে আর গয়নায় ডাকের সাজ। শোলায় মোড়া শ্বেতশুভ্র দশভূজা যেন পাশের বাড়ির মেয়ে।
কিন্তু এই শোলার সাজই হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। শোলার বাজার দখল করে নিচ্ছে রঙিন কাগজ বা থার্মোকল। প্রতিমার গয়না, মালা, চাঁদমালা, চালার সাজ সবকিছু থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে শোলা। তার বদলে দাপট রংচঙে কাগজ ও থার্মোকলের। রঙিন কাগজের উপর আরও রঙিন চুমকি, জরির কারুকাজ করে তৈরি হচ্ছে আধুনিক গয়না। পঃ মেদিনীপুরের ঘাটালেও শিল্পীদের মধ্যে চরম ব্যস্ততা। শিল্পীরাও মানছেন পুজোর বাজারে শোলার কদর কমছে।
advertisement
- শোলার জিনিস তৈরি করতে বেশি সময় লাগে
- শোলার থেকে থার্মোকলের দাম কম
- শোলার কাজ করতে শিল্পীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন
সেইকারণেই, শোলাকে টক্কর দিচ্ছে থার্মোকল।
ময়দার আঠা দিয়ে শোলা আটকে ডাকের সাজ। মণ্ডপে শোলার সাজ এক অন্য মাত্রা দেয়। থিমের ভিড়েও আলাদা করে মনে থাকে ডাকের সাজ। কিন্তু, যেভাবে শোলার কদর কমছে, তাহলে কি হারিয়ে যাবে দুর্গার সাবেকিয়ানা? প্রশ্নটা ভাবাচ্ছে।
