‘ফুলের বৃষ্টি আলোর ছটায় সবার মুখে গান, কোন সাহানায় বাঁধব তোকে অনাগত সন্তান?’ সে কি অনাগত? না কি তাকে অনাহুত করেছে সমাজ? হিসেব-নিকেষ বড্ড জটিল। আজও কন্যাভ্রণ হত্যা, অনাথ শিশুর হাতবদল হয়। উৎসবে থিমের আড়ালে ঘুণধরা এই সমাজকে ধাক্কা দিতে চাইছেন শিল্পী অনির্বাণ। শিল্পীর কল্পনায় শিশুর জন্ম মূহূর্তের উৎসব এবার দমদম তরুণ দলে।
advertisement
ঈশ্বরও উৎসব করেন একটি শিশুর জন্ম মূহূর্তের। সেই সময়টাকেই বাঁধার চেষ্টা। থিম এখানে আবাহন। ব্যাকরণবিদরা বলেন, মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে দেবতার আবির্ভাবের জন্য আহ্বানই নাকি আবাহন। শিল্পী বলেন, সৃষ্টিকর্তা নিজেই আয়োজন করেন যাবতীয় উৎসবের। দুনিয়ার সমস্ত শিশুর জন্ম মূহূর্তকে অক্ষয় করে রাখার জন্য। মণ্ডপ জুড়ে সেই কল্পনার স্বর্গ রচনা। শীর্ষে হর গৌরী।
কল্পনার স্বর্গে প্রাসাদ আছে। আছে পাতার কুটিরও। আসলে দুনিয়ার সমস্ত শিশুজন্মের আনন্দ-অনুভূতি-উৎসব একই রকম। বদলটা আসে তারপর। সেই বদল অনেক ক্ষেত্রেই বে-রঙিন। না......এতটা হতাশ নন অনির্বাণ। শিল্পী ইতিবাচক। তাঁর মণ্ডপও তাই ভীষণ রঙীন। খড়, প্লাই, থার্মোকল দিয়ে গড়ে ওঠা সূর্যমূখি, পরী আর এঞ্জেল। হাজারো মোটিফ এবং মু্দ্রা। মঞ্চ সজ্জার থিমেটিক ব্যাকরণকেও যেন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন শিল্পী প্যান্ডেলওয়ালা। অনির্বাণের হাত ধরে ছুঁয়ে যাওয়া জন্মমূহূর্তকে। ছুঁতে পারেন আপনিও। শুধুই কী থিম? নাকি নবাগতের আবাহন। উৎসব তো আসলে আবাহনেরই।
