চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপর রামমন্দির বাসস্টপে নেমে মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে ঢুকে কয়েক পা গেলেই ডান দিকে রামচন্দ্র ভবন। ১২০ নম্বর বাড়িটি কারোরই নজর এড়ায় না । আজও.. নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তৈরি হয়েছিল বিশাল বাড়িটা......স্ত্রী দুর্গাদাসীর পরামর্শে ঠাকুরদালানে পুজো শুরু করেছিলেন রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.......
ঠাকুরদালানেই তৈরি হত মূর্তি......সময়ের সরণী বেয়ে আজ উমা আসে কুমোরটুলি থেকে.....দ্বিতীয়াতেই ঘরে আসে মেয়ে.....ষষ্ঠীর দিন বেলবরণ...সপ্তমীতে কলাবউ স্নান বাড়ির ঠাকুরদালানেই।
advertisement
একসময়ের চট্টোপাধ্যায়দের দুর্গার ছিল ডাকের সাজ.....এখন অন্যরকম।
খিচুড়ি, ভাত, শুক্তো, ভাজা, মোচার ঘণ্ট, নানা রকম মাছের পদ , চাটনি, পায়েস, বোঁদে, পান্তুয়া .......ভোগ রান্নার দায়িত্বে পুরুষরা।
নবমীর রাতেই রান্না করে রাখা হয় ভাত,মুসুর ডাল, ছাঁচি কুমড়ো, চালতার টক......দশমীতে পান্তা ভোগ, দধিকর্মার পর উমা বিদায়ের তোড়জোড় শুরু......বিসর্জনের আগে সকলেই গলা মেলান পারিবারিক গানে।
আগে যাত্রার আসর বসত ঠাকুরদালানে.....ঐতিহ্য মেনে আজও চট্টোপাধ্যায়দের শারদিয়া জমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
