তিনি যৌবন নিয়েই জন্মেছেন এবং যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই যৌবন তাঁর সঙ্গেই থাকবে। তাই তাঁর লুকস-এ আজও লক্ষণীয় যৌবনের ছোঁয়া। কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছিলেন আশা ভোঁসলে। এটাই আশা ভোঁসলের পরিচয়। আর এই পরিচয়ই তাঁকে আজ ভারতীয় সংগীত জগতের অন্যতম কিংবদন্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
এহেন আশা ভোঁসলে বৃহস্পতিবার পা রাখলেন ৮৫ বছরে। দিদি লতার থেকে ৪ বছরের ছোট আশা। গত কয়েক বছর ধরে সেভাবে আর প্লেব্যাক সিংগিংয়ে পাওয়া যায়নি আশাকে। তার মধ্যে মেয়ের মৃত্যু তাঁকে প্রবল মানসিক ধাক্কা দিয়েছে। তবু তিনি কুহকময়ী। এখনও একবার তাঁর কণ্ঠে যদি উঠে আসে হাস্কি বর্ণমালায় ‘হুজুরে আলা’, সদ্যকিশোর ছেলেটিও সাইকেলে প্যাডেল করতে ভুলে যাবে। দেশজুড়েই আশা ভোঁসলে ফ্যানক্লাব মেতেছে তাঁদের ‘আইডল’-এর জন্মদিন পালনে।
advertisement
১৯৩৩ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম আশার। ১৯৪৩ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে প্লে-ব্যাক সিংগিংয়ে আবির্ভাব। এখনও পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। হিন্দি থেকে শুরু করে বাংলা, তেলুগু, তামিল— ভারতের প্রায় সব ধরনের আঞ্চলিক ভাষাতেই গান গেয়েছেন তিনি। ফিল্মি গান থেকে শুরু করে গজল, পপ একাধিক জ্যঁর-এ তাঁর অবাধ বিচরণ। এহেন ক্ষণজন্মা প্রতিভাকে নিউজ এইটিন বাংলা ডট কমের তরফে সশ্রদ্ধ প্রণাম ৷
