তিনি আরও যোগ করেন, যে মহিলারা ধূমপান করেন তাঁদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি যাঁরা ধূমপান করেন না তাঁদের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। তাঁর কথায়, “এটি IVF-এর মতো গর্ভধারণ ক্ষমতার ক্ষেত্রে চিকিৎসার সাফল্যের হারকে প্রভাবিত করে।”
চিকিৎসক নায়ার ধূমপান এবং গর্ভধারণের ক্ষমতা হ্রাস সম্পর্কে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন:
ধূমপান বন্ধ করলে কি মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনার উন্নতি হবে?
advertisement
হ্যাঁ, এটি অবশ্যই একজন পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই সহায়ক। সর্বোত্তম বিষয়টি হল, ইতিমধ্যেই যে মহিলারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের, কোনও দিনও ধূমপান করেননি এমন মহিলাদের তুলনায় গর্ভবতী হতে বেশি সময় লাগে না।
নিষ্ক্রিয় বা প্যাসিভ ধূমপানও কি গর্ভধারণ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে?
হ্যাঁ, প্যাসিভ ধূমপান গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনাগুলিকে অত্যন্ত প্রভাবিত করে। এমনকি যদি কেউ নিজে ধূমপান না করেন, সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গীর সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়া তার গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ধূমপান পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতাকে কী ভাবে প্রভাবিত করে?
ধূমপান পুরুষদের বীর্যের গুণগতমান হ্রাস করে ফার্টিলিটির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে কম বীর্যপাত হয়; শুক্রাণুর গতিবিধিকেও এটি প্রভাবিত করে এবং মাঝে মাঝে এটি পুরুষকেও অক্ষম করতে পারে। তবে সময় মতো ধূমপান ছেড়ে দিলে এই ক্ষতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
গর্ভধারণের পরিকল্পনা করলে তবে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার আদর্শ সময় কোনটি?
আদর্শগতভাবে, কোনও দম্পতি যখন পরিবার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন তখন তাঁদের পুরোপুরি ধূমপান ত্যাগ করা উচিত। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, ধূমপান ত্যাগ করার পরিবর্তে অনেকেই ধূমপানের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে কম পরিমাণে ধূমপান করাও গর্ভধারণে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। দিনে ১-৫টি সিগারেট গর্ভাবস্থার জন্য আরও বেশি সংবেদনশীল করে তোলে। গর্ভাবস্থার পরে ধূমপান বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি, বিকাশে বাধা এবং মায়ের উচ্চ রক্তচাপের কারণও হতে পারে। কম ওজনের বাচ্চা জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে। গর্ভবতী হওয়ার আগে ধূমপান ছেড়ে দিলে এই সমস্ত ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পাবে।
বন্ধ্যাত্ব মোকাবিলায় ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলি কী কী?
বন্ধ্যাত্ব মোকাবিলায় ধূমপান ত্যাগ করা বেশ কয়েকজন দম্পতির জন্য অবিশ্বাস্য ভাবে চাপযুক্ত হতে পারে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে মানসিক চাপ মুক্তির জন্য বেশিরভাগ মানুষ ধূমপান করে থাকেন। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য সহায়তা প্রদানে চিকিৎসকরা মূল ভূমিকা পালন করেন। বেশ কয়েকটি ওষুধ রয়েছে যা মানুষকে ধূমপান ছাড়তে সহায়তা করার জন্য কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে