TRENDING:

Explained: বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন ইলেক্টরাল বন্ড নিয়ে বিরোধিতা হচ্ছে,  জানুন বিশদে 

Last Updated:

নতুন ইলেক্টরাল বন্ড বিক্রির স্থগিতাদেশের মামলায় নিজের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: সামনেই বিধানসভার ভোট। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, অসম ও পুদুচেরিতে চলছে তারই প্রস্ততি। আর ঠিক তার পূর্বেই নতুন ইলেক্টরাল বন্ড বিক্রির স্থগিতাদেশের মামলায় নিজের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কী এই ইলেক্টরাল বন্ড স্কিম? কেন এই ইলেক্টরাল বন্ড স্কিমের বিরোধিতা করা হচ্ছে? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!
advertisement

কী এই ইলেক্টরাল বন্ড?

২০১৭ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এক কথায় ইলেক্টরাল বন্ড হল বিনা সুদের বিয়ারার বন্ড। এই বন্ডের অধীনে রাজনৈতিক দলগুলিকে নামহীন ভাবেই টাকা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যিনি বা যে দল টাকা নিচ্ছে এবং যারা টাকা দিচ্ছে, তাদের সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকে না এই বিনা সুদের বিয়ারার বন্ডে।

advertisement

১০০০ টাকার গুণিতকে অর্থাৎ ১০,০০০, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ ও এক কোটি টাকায় বিক্রি হয় এই বন্ড। বন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে ভূমিকা নেয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (State Bank of India)। এই বন্ড বিক্রির প্রক্রিয়ায় ডোনাররা বন্ড কিনতে পারেন বা তাঁদের পছন্দের দলকে বন্ড দিতে পারেন। এর পর ১৫ দিনের মধ্যেই কোনও ভেরিফাই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়। তবে কোনও একজন ব্যক্তি বা সংস্থার পক্ষে বন্ড কেনার সময় কোনও রকম সীমাবদ্ধতা থাকে না। যত খুশি বন্ড কেনা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৫ দফায় মোট ১২,৯২৪টি ইলেক্টরাল বন্ড বিক্রি হয়েছে। যার মূল্য ৬৫৩৪.৭৮ কোটি টাকা।

advertisement

কেন এই ইলেক্টরাল বন্ডের বিরোধিতা করা হচ্ছে?

ইতিমধ্যেই ইলেক্টরাল বন্ড নিয়ে বিরোধিতা শুরু হয়েছে। একাংশ এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এর মাঝেই ফিনান্স অ্যাক্ট ২০১৭-তে একটি সংশোধনী আনা হয়। সেখানে বলা হয়, ইলেক্টরাল বন্ডের মাধ্যমে কোন জায়গা থেকে অর্থ আসছে, সেই বিষয়টি আর প্রকাশ্যে আনতে হবে না। এই সংশোধনীর মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজনৈতিক দলগুলিকে খানিকটা অব্যাহতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ এর পর থেকে আর নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনও রকম বিস্তারিত খসড়া পত্র দিতে হবে না দলগুলিকে। টাকার উৎস সম্পর্কেও বিশদে জানাতে হবে না। এর অর্থ হল বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছেও কোনও তথ্য থাকবে না। তাঁরা জানতে পারবেন না কোন ব্যক্তি, সংস্থা এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে টাকা দিচ্ছে এবং কতটা টাকা দিচ্ছে। বলা বাহুল্য, এই ইলেক্টরাল বন্ড আসার আগে দলগুলিকে কিন্তু অর্থের উৎস সম্পর্কে জানাতে হত। কিন্তু আর এই বিষয়টি নিয়ে কোনও রকম চাপ নিতে হবে না রাজনৈতিক দলগুলিকে। অর্থাৎ দেশের করদাতারাই এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানতে পারবেন না। পুরোপুরি অন্ধকারে থেকে যাবেন তাঁরা। আর ঠিক এখানেই সরব হয়েছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই ইলেক্টরাল বন্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (Association of Democratic Reforms)।

advertisement

কতটা জনপ্রিয় এই ইলেক্টরাল বন্ড?

চালু হওয়ার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই রাজনৈতিক টাকা লেনদেন ও অনুদানের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই ইলেক্টরাল বন্ড। ADR-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেশের সমস্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলির প্রায় অর্ধেকের বেশি টাকা এসেছে ইলেক্টরাল বন্ড থেকে। এই স্কিম থেকে সব চেয়ে উপকৃত দল হল BJP। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ইলেক্টরাল বন্ড থেকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি মোট ২,৭৬০.২০ কোটি টাকা পেয়েছে। এর মধ্যে ৬০.১৭ শতাংশ অর্থাৎ ১,৬৬০.৮৯ কোটি টাকা পেয়েছে BJP।

advertisement

ইলেক্টরাল বন্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কী মত?

২০১৭ সালের মে মাসে ইলেক্টরাল বন্ড সংক্রান্ত সংশোধনী নিয়ে অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টিকে 'রেট্রোগ্রেড স্টেপ' হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয় কমিশনের তরফে। ওই মাসে আইন মন্ত্রককে লেখা এক চিঠিতে কমিশনের তরফে জানানো হয়, সরকার যেন বিষয়টির পুনর্বিবেচনা করে। সংশ্লিষ্ট সংশোধনে যেন পরিবর্তন আনা হয়।

Keywords:

Original Story Link:

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজো বাজারে এবার নতুন চাপ! ফুল কিনতে গিয়ে নাকানিচোবানি না খেতে হয়
আরও দেখুন

Written By: Sovan Chanda

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Explained: বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন ইলেক্টরাল বন্ড নিয়ে বিরোধিতা হচ্ছে,  জানুন বিশদে 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল