সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর আসলে কী?
প্রধানত মিথ্যে (False), মনগড়া (Fabricated) সংবাদকে ভুয়ো খবর বা ফেক নিউজ বলা হয়ে থাকে। যে খবরে কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য (Facts), উৎস (Sources) এবং সমর্থনযোগ্য উক্তি (Quotes) থাকে না, তার চরিত্রই ভুয়ো।
ভুয়ো খবর বা ফেক নিউজের ধরন
১) বিদ্রুপ (Staire) বা প্যারডি (Parody)- তাতে ক্ষতির অভিসন্ধি থাকে না।
advertisement
২) বিভ্রান্তিকর (Misleading) বিষয়
৩) ইমপোস্টার (Imposter) বিষয়
৪) মনগড়া বিষয়
৫) মিথ্যা যোগাযোগ
৬) মিথ্যা এবং কারসাজি (Manipulated) করা বিষয়
কোন কোন আইনে ভুয়ো খবর নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
১৮৬০ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৬ডি ধারায় (Section 66D) তথ্য প্রযুক্তি আইন (Information Technology Act), ২০০৮ সালের ৫৪ ধারায় (Section 54) ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (Disaster Management) আইন, ২০০৫ সালের ১৫৩, ৪৯৯ ও ৫০০, ৫০৫(১) ধারা (Section 153, 499 and 500, 505 (1))।
ক) অপরাধ ইলেক্ট্রনিক কমিউনিকেশন (Electronic Communication) সংক্রান্ত হলে
কোনও ব্যক্তি কমিউনিকেশন ডিভাইজ (Communication Device) বা কম্পিউটার রিসোর্সের (Computer Resources) মাধ্যমে প্রতারণা করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইটি (IT) আইনের ৬৬ ধারায় মামলা রুজু হবে।
খ) বিপর্যয় সংক্রান্ত ভুয়ো খবর
কেউ কোনও বিপর্যয় বা তার নির্দয়তা, কম্পন নিয়ে ভুয়ো খবর প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের ৫৪ ধারায় শাস্তি দেওয়া হবে।
গ) ভুয়ো খবরে মানুষের মধ্যে ভুয়ো বার্তা গেলে
কারও প্রচারিত ভুয়ো খবর কিংবা তথ্য বা গুজবে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের আবহ তৈরি হলে, তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(১) ধারায় শাস্তি দেওয়া হবে।
ঘ) ভুয়ো খবরে দাঙ্গা শুরু হলে
কারও কোনও বক্তব্য, গুজব, প্ররোচনায় দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি হলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।
ঙ) মানহানির কারণ হয় যে তথ্য
কারও কোনও বক্তব্য, ছবি, ভিডিও প্রচার কিংবা প্রসারে কোনও ব্যক্তির মানহানির সম্ভাবনা তৈরি হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় মামলা দায়ের করা যাবে।
Prachi Mishra