কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. কে সুধাকর (Dr. K. Sudhakar) বলেন, “টিবিতে আক্রান্ত ২৪ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে যাঁদের আগে করোনা পজিটিভ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তাই রাজ্যের মানুষের স্বার্থে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষদের স্ক্রিনিং শুরু করা হয়েছে। করোনা মানবদেহের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ঠিক তেমনই টিবিও ফুসফুসের ক্ষতি করে। তাই আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যাতে সকলকে সময়ের মধ্যে সুস্থ করা যায়”।
advertisement
চিকিৎসকদের মতে করোনা সংক্রমণের কারণে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে টিবি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। নারায়ণ মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের (Narayana Multispeciality Hospital) পালমোনোলজির কনসালট্যান্ট ড. দুবের (Dr. Dubey) মতে, “মারাত্মক করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্টেরয়েড এবং অন্যান্য কিছু ওষুধ ব্যবহার করার ফলে রোগীর শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই পরবর্তীতে টিবির মতো জটিল রোগের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে ”।
ইতিমধ্যে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা যৌথ ভাবে টিবি রোগে করোনার প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। বিশ্বের এই চারটি দেশেই টিবি রোগীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। চিকিৎসকদের মতে করোনা থেকে সেরে ওঠার ৪-৬ সপ্তাহ পর যদি রোগীর শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তবে তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সমস্ত পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়াও ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের ক্ষেত্রেও টিবির ভয় থাকছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।