এই পুরো গবেষণার রিপোর্টটি ইমিউনিটি (Immunity) নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই অ্যান্টিবডির সাহায্যে আরও উন্নতমানের টিকা বানিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসের মিউটেশন বদলের পরও নিজের ক্ষমতা হ্রাস করবে না বরং শক্তিশালী হয়ে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে।
করোনার ভ্যারিয়ান্ট SARS-CoV-2 মানব দেহের শ্বাসনালির কোষগুলিতে সংক্রমণের জন্য স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। অ্যান্টিবডির কাজ হল কোষের মধ্যে সংক্রমণের সময়ে স্পাইক প্রোটিনের সরবরাহে বাধা দেওয়া। এর ফলে করোনা সংক্রমণের প্রভাব ক্ষীণ হয়ে পড়ে। কিন্তু করোনাভাইরাস নিজের মিউটেশন বদলের ফলে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে আরও উন্নত অ্যাটিবডি তৈরির খোঁজ চলছে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা স্পাইক প্রোটিন নিয়ে ইঁদুরদের ওপর এই গবেষণা করেছেন। এই গবেষণায় তাঁরা ৪৩টি উন্নত অ্যান্টিবডির আবিষ্কার করেছেন, যেগুলি করোনার একাধিক ভ্যারিয়ান্টের সঙ্গে লড়াই করে জিততে পারবে।
advertisement
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪৩টি অ্যান্টিবডির মধ্যে গবেষকরা দুই ধরনের অ্যান্টিবডি বেছে নিয়েছেন, যেগুলি ইঁদুরের মধ্যে সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করেছে। এমনকী করোনার আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা, কাপ্পা এবং আইওটা ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে এটি বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও নামবিহীন আরও কয়েকটি ভ্যারিয়ান্টের ওপরেও সফলতা পেয়েছেন গবেষকরা। এর মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অ্যান্টিবডি SARS2-38-এর কথা বলেছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি SARS2-38 অ্যান্টিবডিটির করোনার সব ভ্যারিয়ান্টকে দমন করার শক্তি আছে।