কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্তা বলতে ঠিক কী বোঝায়?
কর্মক্ষেত্রে কোনও মহিলাকর্মী যদি পুরুষ সহকর্মী দ্বারা অনভিপ্রেত যৌন মুহূর্তের সম্মুখীন হন, তাহলে বিষয়টিকে যৌন হেনস্তার স্তরে ফেলা যায়। এক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত স্পর্শ, যৌন উদ্দীপক ইঙ্গিত বা কথা, সরাসরি যৌন প্রস্তাব দেওয়া- সবই হেনস্তা হিসেবে গ্রাহ্য করা হয়।
এক্ষেত্রে মহিলাদের সুরক্ষায় দেশের কি কোনও বিশেষ আইন রয়েছে?
advertisement
হ্যাঁ, ২০১৩ সালে প্রণয়ণ করা হয়েছে Sexual Harassment of Women at Workplace Act।
Vishakha Guidelines কী?
১৯৯৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট বিশাখা বনাম রাজস্থান সরকার মামলায় কর্মক্ষেত্রে নারীর যৌন হেনস্তা সম্পর্কিত কয়েকটি রায় দেয়। সেই রায়ে যে সব নির্দেশ কঠোর ভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল, তাই Vishakha Guidelines নামে পরিচিত। পরবর্তী কালে এর উপরে ভিত্তি করেই তৈরি হয় Sexual Harassment of Women at Workplace Act।
এই আইন কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
দেশের সমস্ত কর্মক্ষেত্র এবং তার মহিলাকর্মীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য।
ফ্লার্ট করাও কি আইন অনুসারে যৌন হেনস্তার মধ্যে পড়ে?
যদি মহিলাকর্মীর সম্মতি না থাকে এবং ফ্লার্ট করার সময়ে বলা কোনও যৌনতাবাচক কথা তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে, তবে আইন অনুসারে ফ্লার্টিংও যৌন হেনস্তা হিসেবে গণ্য হবে।
কেউ মামলা করলে কি তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়?
মহিলাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে আইন অনুসারে অভিযোগকারিণী এবং সাক্ষীদাতাদের নাম গোপন রাখা হয় মামলা চলার সময়ে।
এই আইনের বলে মহিলাকর্মী কী কী সুবিধা পেয়ে থাকেন?
১. নিরাপদ পরিবেশে কাজ করার সুবিধা।
২. অভিযোগ করতে চাইলে যাবতীয় সহায়তা।
৩. মামলা যাতে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হয়, সে বিষয়ে আশ্বাস।
আইনের অধীনে অভিযুক্তের কী শাস্তি হতে পারে?
ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৫০৯ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিন বছরের কারবাস, জরিমানা অথবা দুই শাস্তি হিসেবে ধার্য হতে পারে।
কোনও পুরুষ কি মহিলাকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনতে পারেন?
না, এই আইন শুধু মহিলাদেরই সুরক্ষার আশ্বাস দেয়।