কেন সংঘটিত হচ্ছে এই গবেষণা?
সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন উঠে আসে যে ঠিক কী বিজ্ঞানীরা খুঁজতে চলেছেন সমুদ্রের তলায়। জানা গিয়েছে যে তাঁরা সাগরতলের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন। ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া, তার পরে মরিশাসের পোর্ট লুই থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়েছে গন্তব্যপথ। গড়ে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীরতায় তাঁরা সমুদ্রগর্ভের মাইক্রোঅর্গ্যানিজম নিয়ে জেনোম ম্যাপিং করবেন। যাতে বিশ্ব উষ্ণায়ন, মানুষের জনসংখ্যাবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি কী ভাবে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব ফেলছে তা খুঁটিয়ে বোঝা যায়। যে ভাবে রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে মানুষের ডিএনএ বা জিন ম্যাপিংয়ের কাজটি সম্পন্ন হয়, সে ভাবেই এই সমুদ্রের তলার মাইক্রোবদের নিয়ে জেনোম ম্যাপিং করা হবে।
advertisement
এই গবেষণা আমাদের কোন উপকারে আসবে?
ঠিক কোন কোন শর্তসাপেক্ষে সামুদ্রিক মাইক্রোবদের RNA এবং DNA-এর গঠনে বদল আসে, সেটি পরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা। খনিজ এবং ধাতব উপাদান সমুদ্রের তলায় বেড়ে যাওয়ায় তারা কী ভাবে নিজেদের অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রাখছে, সেটাও দেখা হবে। পাশাপাশি অ্যান্টি-ক্যানসার ট্রিটমেন্টে কোনও ভাবে এই সব মাইক্রোব কাজে লাগানো যায় কি না, সেটাও পরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণার নমুনা কী ভাবে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা হবে?
জানা গিয়েছে যে বিজ্ঞানীরা সরাসরি সমুদ্রগর্ভে নামবেন না। ২৪টি টেফলনের প্রলেপ দেওয়া বোতল একসঙ্গে ধরে রাখতে পারে, এমন ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কেভলার কেবল জলে ফেলে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তার পর তরল নাইট্রোজেনের সাহায্যে -৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এদের সংরক্ষণ করা হবে। এদের মধ্যে কিছু নমুনা নিয়ে সিন্ধু সাধনা ডুবোজাহাজের মধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। পরবর্তী তিন বছর যাতে কাজ চালানো যায়, এমন বিশাল পরিমাণে নমুনা নিয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওসিয়ানোগ্রাফিতে ফিরে আসবেন বিজ্ঞানীরা।
Written By: Anirban Chaudhury