২০২১-এর এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে। এর ফলে চাকরির বাজারে ভাটা পড়তে শুরু করে। কিন্তু মে মাস থেকে চাকরি ক্ষেত্রে নতুন আশা দেখা দিতে শুরু করে। একটি বিবৃতি অনুসারে, বড় শহরগুলিতে সাধারণত বেশি চাকরি হয় ব্যাঙ্কিং/ ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, বিমা এবং আইটি- হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সেক্টরে। মে মাসে বেঙ্গালুরুতে আইটি কোম্পানিরা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারের চাকরিতে মোট ৬৭ শতাংশ নিয়োগ করেছে এবং হায়দরাবাদের কোম্পানিরা মোট ৪৯ শতাংশ নিয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সমস্ত বড় শহরগুলির মধ্যে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ে কর্মসংস্থান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা সব ধরনের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৭৯, ৬২ ও ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে। প্রতি নিয়ত নতুন চাকরি পাচ্ছেন গোটা দেশের যোগ্য় প্রার্থীরা।
advertisement
Monster.com-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২১-র মে থেকে এপ্রিল মাসের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সময়ে ৪৫ শতাংশের কর্মসংস্থান হয়েছে। যার মধ্যে রিটেলে হয়েছে ২৪ শতাংশ, হোম অ্যাপ্লায়েন্সে হয়েছে ১৩ শতাংশ, টেলিকম/আইএসপি শিল্পের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে শিল্পগুলি তেমনভাবে চাকরির বাজার গড়তে পারেনি সেগুলি হল ভ্রমণ ও পর্যটন, আমদানি/রফতানি এবং প্রিন্টিং/প্যাকেজিং সেক্টর।
এক বছরের হিসেব বলছে গত বছরে এই একই সময়ে যে হারে নতুন নিয়োগ হয়েছে দেশে, তার চাইতে এই বছর মে মাস থেকে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি চাকরির বাজারে। এর কারণ স্বরূপ রিপোর্ট বলছে শিল্প সংস্থাগুলি গত বছরের লকডাউনের কথা মাথায় রেখে আরও বেশি প্রস্তুত রেখেছিল নিজেদের। যার পরিণামে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ২৯ শতাংশ, লজিস্টিক, কুরিয়ার, ফ্রেইট, ট্রান্সপোর্টেশনে ২৫ শতাংশ এবং টেলিকম/আইএসপির ক্ষেত্রে ২৩ শতাংশ চাকরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
Monster.com-এর সিইও শেখর গারিসা (Sekhar Garisa) এই প্রসঙ্গে বলছেন, “অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ নতুন চাকরির বাজার দমাতে পারেনি, বরং সেটা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে কোম্পানিগুলি পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শিখেছে। এর ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে”।