TRENDING:

PM Narendra Modi: সম্পূর্ণ হয়েছে ১০০ কোটির টিকাকরণ; প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে-প্রেরণায় হাত মিলিয়েছে দেশ

Last Updated:

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের বার্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ট্যুইটারের প্রোফাইলের ছবি বদলে ফেলেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ভারতে সম্পন্ন হল ১০০ কোটির টিকাকরণ। ২১ অক্টোবর ভারত ১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলক ছুঁয়েছে। চিনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসাবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। বৃহস্পতিবার এই কৃতিত্ব অর্জনের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) তাঁর ট্যুইটারের (Twitter) প্রোফাইল ছবি বদলান। সেই ছবিতে রয়েছে টিকার একটি শিশি এবং তার ওপরে লেখা 'অভিনন্দন ভারত, ১০০ কোটি কোভিড ১৯ টিকা দেওয়া হল।'
PM Narendra Modi
PM Narendra Modi
advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করেন, ‘‘ভারত রচনা করেছে নতুন ইতিহাস। আমরা দেখলাম বিজ্ঞানের জয়। ১৩০ কোটি দেশবাসীর একতার সাক্ষী রইলাম আমরা সকলে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সামিল সকল চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী এবং সকল জনগণকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।’’ সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশের ৭৫ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রথম টিকার ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। দেশের ৩১ শতাংশ মানুষ পেয়েছে টিকার দু'টি ডোজ। ১৬ জানুয়ারি দেশে প্রথম টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়। এর ঠিক সাত মাসের মধ্যেই ৬ অগাস্ট দেশে ৫০ কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন হয়। এর ঠিক ৭৬ দিন পরে ১০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে দেশ।

advertisement

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের বার্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ট্যুইটারের প্রোফাইলের ছবি বদলে ফেলেন। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে তিনি তাঁর সরকারের কৃতিত্ব তুলে ধরতে চেয়েছেন। 'মেড ইন ইন্ডিয়া' (Made In India) ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের বুকে এক নজির সৃষ্টি করেছে ভারতবর্ষ। অনেকেই বলেছিলেন যে ১৩০ কোটি জনগণের দেশ ভারতবর্ষে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর সময় লেগে যাবে। কারণ জানুয়ারি মাসে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরেই অনেকেই টিকা নিতে আগ্রহী ছিলেন না। এছাড়াও টিকার সঠিক বণ্টন, কী ভাবে তা দেওয়া হবে, তার পরিকাঠামো গড়ে তোলা ইত্যাদি সব কিছু নিয়েই এক অব্যবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছিল। কিন্তু সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ভারতে এখন ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।

advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, "সবাই যদি একসঙ্গে ঠিকঠাক ভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে তাহলে সব কিছুই সম্ভব। ভারত আজ সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। করোনা মহামারীর শুরু থেকেই আমরা নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করে এগিয়ে গিয়েছি। করোনা মহামারীর প্রকোপ কম করার সঙ্গে সঙ্গে টিকা তৈরির ওপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এরই ফলস্বরূপ মেড ইন ইন্ডিয়া করোনার টিকার মাধ্যমে আমরা আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি।"

advertisement

ভারতের প্রতিটি কোণে সঠিক ভাবে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া এবং সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজও সহজ ছিল না। এর জন্য সঠিক প্ল্যান এবং নীতির দরকার ছিল। পুণে এবং হায়দরাবাদ থেকে করোনা ভ্যাকসিনের ভায়াল অন্যান্য রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে উপযুক্ত পরিকাঠামো। এর জন্য প্রতিটি রাজ্যে তৈরি করা হয়েছে সেন্ট্রাল হাব। প্রথমে করোনার টিকা রাজ্যের সেই সেন্ট্রাল হাবে পাঠানো হয়। এর পর সেখান থেকে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে যায় জেলার হাবে। সেখান থেকে বিভিন্ন ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের মাধ্যমে দেশের জনগণকে দেওয়া হয় করোনার ভ্যাকসিন। এই কাজের পেছনে কতটা চ্যালেঞ্জ ছিল সেটা একবার ভেবে দেখে দরকার। এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে প্লেন এবং ট্রেন। সম্পূর্ণ যাত্রাপথে করোনার টিকার সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ টিম।

advertisement

সকলের কাছে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১ লাখের বেশি কোল্ড চেন। সকল রাজ্যকে কবে কত পরিমাণ ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে তা আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়। কারণ রাজ্যগুলোকেও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়। কোথায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, কাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, প্রথম না দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ইত্যাদি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি নিপুণ ভাবে সম্পন্ন করতে হয়। কারণ পুরো ব্যবস্থাটাই একটা চেনের মতো সম্পন্ন হয়। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই কর্মযজ্ঞ নিঃসন্দেহে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

তাছাড়া, করোনার ভ্যাকসিন তৈরি এবং তা জনগণকে দিয়ে দিলেই এর প্রক্রিয়াটি শেষ হয়ে যায় না। কারণ এখানে স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ও জড়িত। ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দেওয়ার পর নির্দিষ্ট দিন অন্তর আবার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। সেটারও একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। এর জন্য পুরো প্রক্রিয়াটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লঞ্চ করা হয়েছে কোউইন (CoWIN) অ্যাপ। এর মাধ্যমে দেশের জনগন ভ্যাকসিন ড্রাইভের সমস্ত কিছুই ট্র্যাক করতে পারবে। কোথায় কোথায় ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, ভ্যাকসিনের স্লট বুকিং, তার সার্টিফিকেট ইত্যাদি সমস্ত কিছুই এই অ্যাপের মাধ্যমে দেখতে পারবে। এর ফলে কোভিডের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়ার পুরোটাই চলে এসেছে এক ছাতার তলায়। ভ্যাকসিন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সকলে পেয়ে যাচ্ছে তাদের সার্টিফিকেট। এর ফলে কেউ যদি অন্য কোনও দেশে যায়, তার আর কোনও সমস্যা থাকছে না। ১৩০ কোটির দেশবাসীর সকলের প্রচেষ্টায় ভারত আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঠিক নীতি ও আইনের ফলে ভারত করোনার টিকাকরণে স্পর্শ করেছে নতুন মাইলফলক।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘২০১৫ সালের স্বাধীনতা দিবসেই আমি বলেছিলাম আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে কারণ আমাদের হাতে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এটি ১৩০ কোটি দেশবাসীর এক বিশাল বড় টিম। ১৩০ কোটি দেশবাসী কোনও কাজে অংশগ্রহণ করলে আমরা এমনিতেই ১৩০ কোটি পা এগিয়ে যাব। আমাদের দেশের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের টিমের কতটা শক্তি রয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে পুরো বিশ্বের কাছে এক গভীর বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।"

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
PM Narendra Modi: সম্পূর্ণ হয়েছে ১০০ কোটির টিকাকরণ; প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে-প্রেরণায় হাত মিলিয়েছে দেশ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল