এবার ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলল। সেটা হল বি.২.৭৫। এই সাব ভ্যারিয়েন্টের থেকে সব দেশগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এক ইজরায়েলি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি প্রকৃতিতে ‘আরও ভয়ঙ্কর’ হতে পারে।
বিএ.২.৭৫ কী: বিএ.৪ এবং বিএ.৫ ছাড়াই ওমিক্রনের একটি সাব ভ্যারিয়েন্ট হল বিএ.২.৭৫। বর্তমানে ভারতের প্রায় ১০টি রাজ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। তবে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ভারতীয় সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম, একটি জিনোমিক নজরদারি সংস্থা, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সনাক্তকরণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করেনি। নতুন সাবলাইনেজ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা না গেলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন - Health Tips: খিদে নেই, ত্বকের সমস্যা, পুরুষদের যৌন সমস্যা জেরবার? অগরু ব্যবহারেই হতে পারে সমাধান
কোথায় এটা সনাক্ত করা হয়েছে: তেল হাশোমারের শেবা মেডিক্যাল সেন্টারের সেন্ট্রাল ভাইরোলজি ল্যাবরেটরি থেকে ডাঃ শ ফ্লিসন ট্যুইটারে বলেছেন যে জিনোমিক ডেটার একটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম নেক্সটস্ট্রেনে এখনও পর্যন্ত আটটি দেশের ৮৫টি সিকোয়েন্স আপলোড করা হয়েছে।
এর মধ্যে ভারতের ৬৯ জন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: দিল্লি (১), হরিয়ানা (৬), হিমাচল প্রদেশ (৩), জম্মু (১), কর্নাটক (১০), মধ্যপ্রদেশ (৫), মহারাষ্ট্র (২৭), তেলেঙ্গানা (২), উত্তর প্রদেশ (১), এবং পশ্চিমবঙ্গ (১৩)।
আরও পড়ুন - Chankya Niti: পারফেক্ট জীবন সঙ্গী চান, ‘এই’ গুণগুলিতে নজর দিয়ে বেছে নিন সেরা পার্টনার
নেক্সটস্ট্রেনের তথ্য অনুযায়ী, ভারত ছাড়াও জাপান (১), জার্মানি (২), যুক্তরাজ্য (৬), কানাডা (২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (২), অস্ট্রেলিয়া (২) এবং নিউজিল্যান্ডে (২) এই সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। ফ্লিসন টুইটারে লিখেছেন, ‘এখনও ভারতের বাইরে সিকোয়েন্সের উপর ভিত্তি করে কোন সংক্রমণ ট্র্যাক করা যায়নি’।
পরবর্তীকালে এটাই কী প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠবে: ফ্লিসনের মতে বিএ.২.৭৫ পরবর্তী প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠবে কি না সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে সাব ভ্যারিয়েন্টটি আশঙ্কাজনক কারণ এটা একটা প্রবণতাকে ইঙ্গিত করে। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, স্পাইক প্রোটিনের এস১ বিভাগে মিউটেশন সহ ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্টগুলোর সংক্রমণের একটি প্রবণতা রয়েছে, যথা বিএ.১, বিএ.২, বিএ.৩, বিএ.৪ এবং বিএ.৫। তিনি বলেছেন, মিউটেশনগুলি বিশেষভাবে স্পাইক প্রোটিনের অংশে ঘটছে। এটাই ভাইরাসটি সংযোগ করতে এবং কোষে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করে।
সুরক্ষার উপায় কী: সরকারি তরফে বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে এলেও মাস্ক পরা বন্ধ করলে চলবে না, সেই সঙ্গে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখার মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সেই সঙ্গে জোর দিচ্ছেন বুস্টার শটের উপরেও, বলছেন নির্দিষ্ট সময়ে সেটাও নিয়ে রাখতে পারলে ভাল হয়।