কোভিডের ডবল মিউট্যান্ট কী? এর আগে দেখা মিউট্যান্টের চেয়ে এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কি আলাদা?
অপর্ণা মুখোপাধ্যায়: SARS-CoV2-এর B.1.617 ভ্যারিয়েন্টকেই ডবল মিউট্যান্ট বলা হচ্ছে। অন্য মিউটেশনের কথা বাদ দিলে এর দু'টি মারাত্মক মিউটেশন রয়েছে, এরা হল E484Q আর L425R। বলা যেতেই পারে যে দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য এই দুই মিউটেশনই দায়ী।
advertisement
ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বলতে কী বোঝায়? এই ডবল মিউট্যান্টকে কি সেই তালিকায় ফেলা যায়?
অপর্ণা মুখোপাধ্যায়: যে ভ্যারিয়েন্ট নিজের বিধ্বংসী ক্ষমতা দ্রুত পরিবর্তন করে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যা জনস্বাস্থ্যের উপরে অপরিসীম প্রভাব ফেলছে, তাকেই ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বলা হয়। আপাতত ডবল মিউট্যান্ট নিয়ে গবেষণা চলছে, এখনই একে এই তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
ডবল মিউট্যান্টের জন্যই কি দেশে করোনার দ্বিতীয় ঝড় এল?
অপর্ণা মুখোপাধ্যায়: বলা মুশকিল! কেন না, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঝড় আসার আগেই এর সন্ধান মিলেছিল।
জেনোম সিকোয়েন্সিং কী? এই পরিস্থিতিতে এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে?
অপর্ণা মুখোপাধ্যায়: জেনোম সিকোয়েন্সিং হল আক্রান্তদের জিন বা ডিএনও পরীক্ষা করে ভাইরাসের স্বরূপ বোঝার চেষ্টা। কী ভাবে তা চরিত্র বদল রছে, ঠিক কী ভাবে রোগীকে ঘায়েল করছে, তা এর দ্বারা বোঝা যায়। ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করতে হলে জেনোম সিকোয়েন্সিং ছাড়া পথ নেই।
জেনোম সিকোয়েন্সিং কি তাহলে ভাইরাসের এই দ্বিতীয় ঝাপটা, ভবিষ্যতে তৃতীয় ঝাপটা এলেও তা প্রতিরোধের পথ দেখাতে পারবে?
অপর্ণা মুখোপাধ্যায়: জেনোম সিকোয়েন্সিং থেকে যে ডেটা পাওয়া যাচ্ছে, তা আমাদের ভাইরাসের সংক্রমণের ধরনটি বুঝতে সাহায্য করছে। চিকিৎসাপদ্ধতি কিন্তু এক থাকবে, সেখানে কোনও বদল আসবে না। ভ্যাকসিনও এই প্রসঙ্গে জরুরি- যেমন আমরা জানি যে Covaxin বা অন্য ভ্যাকসিনগুলো করোনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তাই যত দ্রুত সম্ভব, দেশের সবার ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল করোনাবিধি মেনে চলা, সে ভ্যাকসিন নেওয়া হোক বা না হোক, আগে কেউ সংক্রমিত হন বা না হন!