মলন্দের ফর্টিস হাসপাতালের (Fortis Hospital, Mulund) সিনিয়র কনসালট্যান্ট -পেডিয়াট্রিশিয়ান ডা. জেসল শেঠ (Dr. Jesal Sheth) এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কোভিড ১৯-এর প্রথম তরঙ্গ ৬০ বছরের উপরের মানুষদের মধ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। দ্বিতীয় ঢেউ তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন যে তৃতীয় ঢেউ সম্ভবত শিশুদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
advertisement
ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (IAP) পাঁচ বছরের কম বয়সি সমস্ত বাচ্চাকে বার্ষিক ফ্লু শট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ ২০১৯-২০ তে আমেরিকায় করা একটি গবেষণা বলছে যে পাঁচ বছরের কম শিশুদের যে বার্ষিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমেছে। মহারাষ্ট্রের পেডিয়াট্রিক টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছে, ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে সমস্ত শিশুদের টিকাদান সম্ভাব্য কোভিড ১৯-এর তৃতীয় ঢেউ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। চিকিৎসকদের দাবি, শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ প্রতিরোধের ফলে করোনা সংক্রমণ কমতে পারে। এতে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার চাপও কমবে।
ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন ও কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের মতো দু'টি ভ্যাকসিন শিশুরা নিতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ওরা পারবে নিতে। তবে ফ্লু ভ্যাকসিন এবং কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন দু'টি আলাদা। দু'টি ভ্যাকসিনের মধ্যে চার সপ্তাহের ব্যবধান বজায় রাখা দরকার যাতে শিশুর শরীরের অ্যান্টিবডিগুলি বিকাশের জন্য এবং ভাইরাল যে কোনও জীবাণুর বিরুদ্ধে সমস্ত ধরণের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়।
Written By: Arijit Haldar