TRENDING:

৫০ বছর পর বাংলায় ফিরছে বিধান পরিষদ, অন্য রাজ্যগুলিতে কী ভাবে রয়েছে এই পরিষদ?

Last Updated:

প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় পর ফিরতে চলেছে এই বিধান পরিষদ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় অসেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে রাজ্যে বিধান পরিষদ (Legislative Council) গঠনের প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা। প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় পর ফিরতে চলেছে এই বিধান পরিষদ।
advertisement

বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর মন্ত্রীত্ব থেকে বহু পুরনো মুখ বাদ পাড়ায়, বিধান পরিষদ গঠন করে তাঁদের ফিরিয়ে আনার অঙ্গিকার করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এবারের নির্বাচনে ৮০ বছরের উর্ধ্বে কাউকেই টিকিট দেওয়া হয়নি। তবে ক্ষমতায় ফিরে বিধান পরিষদ গঠন করে সেখানে তাঁদের জন্য জায়গা করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ অবলুপ্তির প্রস্তার পাস করা হয়। এই পরিষদ অবলুপ্ত হয় ১ অগস্ট। তবে বর্তমানে ভারতের ৬টি রাজ্য তথা, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, বিহার, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার অস্তিত্ব রয়েছে।

advertisement

ভারতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতীয়দের বেশ কিছু শাসনতান্ত্রিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে এবং তাদের সন্তুষ্ট রাখতে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন নামে একটি আইন প্রণয়ন করে। তার পরে ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন ভারতীয় প্রদেশগুলিতে দ্বিকক্ষ বিধান পরিষদ গঠন করে। এই আইনের আওতায় ১৯৩৭ সালে একটি আইন পরিষদ প্রথম বাংলায় কাজ শুরু করে।

advertisement

পশ্চিমবঙ্গ পরিষদ

১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদের অস্তিত্ব বর্তমান ছিল। কিন্তু দু’বছর আগে তথা ১৯৬৭ সালের চতুর্থ সাধারণ নির্বাচনে যখন একাধিক রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতা হারাতে থাকে তখন থেকেই বিধান পরিষদের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে পরিচালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে, ১৪ দলের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্ট বিরোধী দলের কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠন করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় (Ajoy Kumar Mukherjee) উপ-মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে (Jyoti Basu) সঙ্গে নিয়ে সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যদিও এই জোট বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। রাজ্যপাল ধরম বীর (Dharam Vira) আট মাস পর এই সরকারকে বরখাস্ত করেন।

advertisement

১৯৬৯ সালে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরে দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। যে ৩২-দফার কর্মসূচিতে এটি নির্বাচনে লড়াই হয়েছিল, যার ৩১ নং পয়েন্টটিই ছিল আইন পরিষদের বিলুপ্তিকরণ। ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল সরকারের প্রথম কাজ।

পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ অবলুপ্তির প্রস্তাব প্রথম উত্থাপন করেন আরএসপির (RSP) যতীন চক্রবর্তী (Jatin Chakraborty)। তাঁর কথায়, বিধান পরিষদ অপ্রয়োজনীয়, অযোক্তিক এবং ব্যয়বহুল বিলাসিতা। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন কংগ্রেস নেতা সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ও (Siddhartha Sankar Roy)।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজো বাজারে এবার নতুন চাপ! ফুল কিনতে গিয়ে নাকানিচোবানি না খেতে হয়
আরও দেখুন

বিধান পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি ৬ বছর অন্তর বিধান পরিষদের নির্বাচন হয়ে থাকে। সংবিধানের ১8৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে বিধানসভাকে একটি প্রস্তাব পাস করে একটি বিধান পরিষদ গঠন বা বিলুপ্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। বিধান পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের সম্মতিতে প্রস্তাবটি পাশ হয়। এই সংক্রান্ত একটি বিল সংসদ দ্বারা পাস করতে হয়। ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার সর্বসম্মতি প্রস্তাবে বিধান পরিষদ অবলুপ্তি করা হয়েছিল। বিধানসভায় কংগ্রেস ও যুক্তফ্রন্টের ২২২ জন সদস্যই সর্বসম্মতিতে বিধান পরিষদ অবলুপ্তিতে মত দিয়েছিলেন।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
৫০ বছর পর বাংলায় ফিরছে বিধান পরিষদ, অন্য রাজ্যগুলিতে কী ভাবে রয়েছে এই পরিষদ?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল