TRENDING:

CoronaSecondWave: মাথায় হাত, একবারেই মুক্তি নেই, তরুণ প্রজন্মকে বারবার আক্রান্ত করছে করোনা

Last Updated:

কেন বাড়ছে তরুণদের করোনা পুর্নসংক্রমণের আতঙ্ক? শরীরে কোভিড বিরোধী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থাকলেও বাড়ছে পুনর্সংক্রমণের আশঙ্কা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: সারা দেশ ও বিশ্ব জুড়েই ফিরে আসছে মারণ কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ওয়েভ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে নাইট কার্ফু। প্রথম ওয়েভে সাধারণত একবার কোভিড আক্রান্ত হবার পর সুস্থ হয়ে উঠলে শরীরে পাওয়া যেত কোভিড বিরোধী আ্যান্টিবডির সন্ধান। যা দ্বিতীয়বার কোভিড আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাকে অনেকটাই নির্মূল করতে পারত। তবে দ্বিতীয় ওয়েভের ক্ষেত্রে সে বিষিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা। শরীরে কোভিড বিরোধী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থাকলেও বাড়ছে পুনর্সংক্রমণের আশঙ্কা। তাই বিজ্ঞানী ও ডাক্তাররা জোর দিচ্ছেন ভ্যাকসিনেশনের উপর। ভ্যাকসিনের ডোজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। ''দি ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিনে (The Lancet Resipiratory Medice) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এমনই তথ্য সামনে উঠে এসেছে।
advertisement

এই সমীক্ষা আঠেরো থেকে কুড়ি বছর বয়সী তিন হাজার মার্কিনি নৌ-সেনার ওপর চালানো হয়। স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী এই নৌ-সেনাদের মধ্যে, প্রাথমিক ভাবে ১৮৯ জনের মধ্যে সেরো-পজিটিভিটি ও ২২৪৭ জনের মধ্যে সেরো-নেগেটিভিটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। ১৮৯ জন কোভিড পজিটিভ এর মধ্যে ১০ শতাংশ (১৯ জন) পুনরায় কোভিডে আক্রান্ত হন। অন্য দিকে ২২৪৭ জন যাঁরা আগে কোভিডে আক্রান্ত হননি তাঁদের মধ্যেও ৫০ শতাংশ মানুষ (১০৬৯ জন) নতুন করে কোভিড সংক্রমণের শিকার হন।

advertisement

পুনর্সংক্রমণের এই হার মাথায় রেখেই, চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা বারে বারে সঠিক ভ্যাকসিনেশনের উপদেশ দিচ্ছেন। একমাত্র সঠিক ভ্যাকসিনেশনই যে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে তা মনে করছেন অনেকে। বস্তুত একবার কোভিড আক্রান্ত হবার পরে শরীরে তৈরি হওয়া আ্যান্টিবডির দ্বিতীয়বার কোভিড প্রতিরোধ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিবডি অনেকক্ষেত্রেই পুনরায় কোভিড ঠেকাতে অক্ষম। সেই হেতু ভ্যাকসিনই যে একমাত্র সমাধান, তা মনে করছেন অনেকে।

advertisement

তবে প্রণিধানযোগ্য এই যে, পুর্নসংক্রমণের ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক নিরাপত্তা বিধির লঙ্ঘন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। মার্কিনি নৌ-সেনাদের ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সহাবস্থান যে সংক্রমণের হার বাড়িয়ে তুলেছিল তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ডেনমার্কের চিত্র দেখলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়। ডেনমার্কের চল্লিশ লক্ষ মানুষের ওপর করা সমীক্ষা থেকে জানতে পারা গিয়েছে যে, কেবলমাত্র ০.৬৫ শতাংশ মানুষই পুনর্সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। অপর দিকে, নতুন করে সংক্রমণের হার ৩.৩ শতাংশ। এ কথা সহজেই তাই অনুমেয়, সামাজিক নিরাপত্তা বিধি পুর্নসংক্রমণের হার কমাতে সাহায্য করে থাকে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজো বাজারে এবার নতুন চাপ! ফুল কিনতে গিয়ে নাকানিচোবানি না খেতে হয়
আরও দেখুন

কিন্তু পুর্নসংক্রমণের কারণ কি কেবলই সামাজিক নিরাপত্তা বিধির ব্যর্থতা? চিকিৎসকেরা বলছেন- না। সামাজিক নিরাপত্তা বিধির ব্যর্থতার পাশাপাশি রয়েছে শরীরে তৈরি হওয়া আ্যন্টিবডির কমজোরি প্রভাব। মার্কিন নৌ-সেনাদের শরীরের আ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পুনর্সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীরে তৈরি হওয়া আ্যান্টিবডি অনেকক্ষেত্রেই 'সার্স-কোভ-২ ( SAARS-COV-2)' ভাইরাস অপেক্ষা দুর্বল।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
CoronaSecondWave: মাথায় হাত, একবারেই মুক্তি নেই, তরুণ প্রজন্মকে বারবার আক্রান্ত করছে করোনা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল