এই সমীক্ষা আঠেরো থেকে কুড়ি বছর বয়সী তিন হাজার মার্কিনি নৌ-সেনার ওপর চালানো হয়। স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী এই নৌ-সেনাদের মধ্যে, প্রাথমিক ভাবে ১৮৯ জনের মধ্যে সেরো-পজিটিভিটি ও ২২৪৭ জনের মধ্যে সেরো-নেগেটিভিটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। ১৮৯ জন কোভিড পজিটিভ এর মধ্যে ১০ শতাংশ (১৯ জন) পুনরায় কোভিডে আক্রান্ত হন। অন্য দিকে ২২৪৭ জন যাঁরা আগে কোভিডে আক্রান্ত হননি তাঁদের মধ্যেও ৫০ শতাংশ মানুষ (১০৬৯ জন) নতুন করে কোভিড সংক্রমণের শিকার হন।
advertisement
পুনর্সংক্রমণের এই হার মাথায় রেখেই, চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা বারে বারে সঠিক ভ্যাকসিনেশনের উপদেশ দিচ্ছেন। একমাত্র সঠিক ভ্যাকসিনেশনই যে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে তা মনে করছেন অনেকে। বস্তুত একবার কোভিড আক্রান্ত হবার পরে শরীরে তৈরি হওয়া আ্যান্টিবডির দ্বিতীয়বার কোভিড প্রতিরোধ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিবডি অনেকক্ষেত্রেই পুনরায় কোভিড ঠেকাতে অক্ষম। সেই হেতু ভ্যাকসিনই যে একমাত্র সমাধান, তা মনে করছেন অনেকে।
তবে প্রণিধানযোগ্য এই যে, পুর্নসংক্রমণের ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক নিরাপত্তা বিধির লঙ্ঘন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। মার্কিনি নৌ-সেনাদের ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সহাবস্থান যে সংক্রমণের হার বাড়িয়ে তুলেছিল তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ডেনমার্কের চিত্র দেখলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়। ডেনমার্কের চল্লিশ লক্ষ মানুষের ওপর করা সমীক্ষা থেকে জানতে পারা গিয়েছে যে, কেবলমাত্র ০.৬৫ শতাংশ মানুষই পুনর্সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। অপর দিকে, নতুন করে সংক্রমণের হার ৩.৩ শতাংশ। এ কথা সহজেই তাই অনুমেয়, সামাজিক নিরাপত্তা বিধি পুর্নসংক্রমণের হার কমাতে সাহায্য করে থাকে।
কিন্তু পুর্নসংক্রমণের কারণ কি কেবলই সামাজিক নিরাপত্তা বিধির ব্যর্থতা? চিকিৎসকেরা বলছেন- না। সামাজিক নিরাপত্তা বিধির ব্যর্থতার পাশাপাশি রয়েছে শরীরে তৈরি হওয়া আ্যন্টিবডির কমজোরি প্রভাব। মার্কিন নৌ-সেনাদের শরীরের আ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পুনর্সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীরে তৈরি হওয়া আ্যান্টিবডি অনেকক্ষেত্রেই 'সার্স-কোভ-২ ( SAARS-COV-2)' ভাইরাস অপেক্ষা দুর্বল।