২০১০ সালে সলমন খানের (Salman Khan) বিপরীতে বীর (Veer) সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী জারিন খান। যদিও, ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও জারিনকে ব্যাপক ট্রোলের শিকার হতে হয়। ২০১৯ সালে, অভিনেত্রী একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তাঁর পেটের ওপর স্ট্রেচ মার্ক দেখা যাচ্ছিল, এর পরই নেটিজেনরা তাঁকে ফ্যাটরিনা (Fatrina) বলে কুমন্তব্য করে। এই নামটি তাঁকে দেওয়া হয় কারণ, বলিউডে জারিন যখন প্রবেশ করেন তখন তাঁকে ক্যাটরিনা কাইফের (Katrina Kaif) মতো দেখতে বলা হত। অভিনেত্রী এর পরই নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, স্ট্রেচমার্ক খুবই স্বাভাবিক যে কোনও মানুষের ক্ষেত্রে, যখন কেউ তাঁর শরীরের অর্ধেক ওজন ঝড়িয়ে ফেলেন। কেউ কেউ থাকেন যাঁরা পরিশ্রম করে নিজেদের দেহ সুন্দর করে তোলেন, আবার কেউ ফটোশপ বা সার্জারির সাহায্য নেন।
advertisement
Hindi Daily কে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জারিন বলেন, কলেজে পড়ার সময়ে তিনি কখনও ভাবেননি, তিনি একজন অভিনেত্রী হবেন। তিনি একজন চিকিৎসব হতে চেয়েছিলেন, তবে তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না, তাই তিনি কল সেন্টারে কাজ শুরু করেন। এর পর যখন বি-টাউন থেকে তাঁর কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে তখন তাঁকে শরীরের প্রায় অর্ধেক ওজন ঝড়াতে হয়েছিল। এছাড়াও অভিনেত্রী আরও একটি রহস্যের কথা বলেন। তিনি জানান বলিউডে এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা পাবলিকের সামনে বডি-শেমিং এর বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু তাঁরা ছবি তৈরি করার সময়ে একমাত্র জিরো ফিগার মহিলাদেরই সুযোগ দেন। অভিনেত্রী জারিন খানকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে এই সব সমালোচনার জবার দেওয়ার জন্য। বলিউডের পা রাখার পর থেকে এই অভিনেত্রীকে বেশ কিছু বড় বাজেটের ছবিতে দেখা গিয়েছে। যেমন রেডি (Ready), হাউজফুল ২ (Housefull 2) এবং ১৯২১ (1921)-এর মতো আরও অনেক ছবিতে নিজের সৌন্দর্য এবং অভিনয় প্রতিভার জাদু বিস্তার করেছেন জারিন!