প্রসঙ্গত, ‘জঙ্গল বুক’-এর টাইটেল ট্র্যাকটি লিখেছেন গুলজার। আর তা কম্পোজ করেছেন বিশাল ভরদ্বাজ। প্রতি রবিবার ডিডি- চ্যানেলে নতুন পর্ব সম্প্রচার করা হত। আর এই শোয়ের টাইটেল ট্র্যাক শিশুদের মধ্যে দুর্দান্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এমনকি, আজও সেই গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতন থেকে বিদায় নিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, ‘আনন্দে’ মিষ্টিমুখ বিশ্বভারতীর সামনে
advertisement
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিশাল বলেন যে, ওই সঙ্গীত রচনা করার জন্য গুলজারের কাছে প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। আর গুলজারই এসেছিলেন তাঁর কাছে সেই গানে সুরারোপ করার জন্য। পরিচালকের কথায়, “গুলজার সাব আমাকে পরের দিন ফোন করেন। রবিবারের মধ্যেই বিষয়টা করে নিয়ে সোমবার রেকর্ড করার কথা ছিল। আর মঙ্গলবারের মধ্যেই সেটা ডিডি-র হাতে তুলে দেওয়া হত। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিডি-র তরফে একটা ফিডব্যাক আসে। তারা জানায়, ‘গুলজার সাব, চাড্ডি ঠিক লগ রাহা হ্যায় কেয়া’ (গুলজার সাব, অন্তর্বাস বা চাড্ডি কথাটা কি ঠিক লাগছে?)?
এখানেই শেষ নয়, ডিডি-র তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, চাড্ডি-টাকে প্যান্ট কিংবা লুঙ্গি করে দিতে হবে। কিন্তু গুলজার সাব বলেন, ‘গন্দগি তুমহারে দিমাগ মে হ্যায়, অওর কোই প্রবলেম নেহি হ্যায়’ (তোমাদের মানসিকতাই নোংরা, এছাড়া আর কোনও সমস্যা নেই)।”
আরও পড়ুন:কালো টাকা সাদা করতে মুড়ি-মুড়কির মতো খোলা হয়েছিল শেল কোম্পানি! ইডি-র নজরে আরও চার
চিত্র পরিচালক তথা কম্পোজার বিশাল ভরদ্বাজ আরও বলেন, গুলজার বিশ্বাস করতেন মোগলি এমন একটা শিশু, যে ফুলের মতো প্রস্ফুটিত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “উয়ো চাড্ডি পেহেন কে হ্যায় অওর ফুল কি তারাহ লাগতা হ্যায় (ও অন্তর্বাস পরে থাকে, আর ওকে ফুলের মতো দেখায়)।”
শুধু তা-ই নয়, গুলজার সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের কাছে একটি প্রস্তাবও রেখে জানিয়েছিলেন যে, গানটা নিতে হলে ওই শব্দটা-সহই নিতে হবে। আর নাহলে গানটা নেওয়া যাবে না। বলাই বাহুল্য, গুলজারের এই প্রস্তাবে রাজি হন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। আর বাকিটা তো ইতিহাস, যা সকলেরই জানা!