চেনা মুশকিল হয়ে যায় সত্যিকারের অভিনেতা গোবিন্দা নন তো? অনেকেই আবার প্রথম দেখায় ভুল করেই বসেন যে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নিজে। পটাশপুর ২ ব্লকের কৈনাড়া গ্রামের বছর ৩৭-এর যুবক সুকুমার দাস। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল এই যুবক। গোবিন্দার চেহারার সঙ্গে এতটাই মিল যে এলাকায় এখন তিনি ‘গোবিন্দা’ নামেই পরিচিত। উচ্চতা, শরীরের গঠন, মুখাভঙ্গি, হাসি—সবটাই যেন একেবারে কার্বন কপি। সুকুমার নিজেও জানান, ছোটবেলা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার তার ভিডিওগুলি ভাইরাল হতেই ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই তাকে দেখে অবাক হয়ে যান, সত্যিই কি গোবিন্দা? এমন মিল দেখে নেটিজেনরা তার ভিডিওতে কমেন্টে লিখছেন—’এ তো গোবিন্দার হারিয়ে যাওয়া যমজ!’
advertisement
আরও পড়ুন-নভেম্বরেই লাগবে ‘জ্যাকপট’…! বিরল কাকতালীয় যোগে ৩ রাশির ধন-সম্পদের ফোয়ারা, খুলবে পোড়া কপাল
২০০৫ সালে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করার পর রোজগারের তাগিদে পেট্রোল পাম্পে চাকরি নেন সুকুমার। কাজের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সৎ বলে পরিচিত। বর্তমানে এগরা শহরের একটি পেট্রোল পাম্পে কর্মরত তিনি। সুকুমারের দুই ছেলে রয়েছে। সেলেব্রিটি গোবিন্দার সান্নিধ্য পাওয়ার আশায় এখন অনেকেই সেই পেট্রোল পাম্পে আক্ষরিক অর্থেই ভিড় করছেন। তেল নিতে এসে অনেকেই চমকে যান—বিশ্বাসই করতে পারেন না যে তাদের সামনে অভিনেতা গোবিন্দা দাঁড়িয়ে নেই তো। কেউ কেউ আবার মোবাইল বের করে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে জানতে পেরে হাসি-ঠাট্টায় মেতে ওঠেন যে তিনি আসলে পটাশপুরের সুকুমার দাস, যিনি দেখতে গোবিন্দার অবিকল প্রতিচ্ছবি।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পরিচিতি আকাশছোঁয়া। রিল, ভিডিও, ফেসবুক পোস্টে ভরে উঠেছে তার লুক-অ্যালাইক অবতারের বিস্ময়। এলাকার মানুষ তাকে এখন ‘গোবিন্দা’ বলেই ডাকেন। সুকুমারও বিষয়টি হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, মানুষের ভালবাসা এবং আনন্দই তার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। নিজের মত সাধারণ জীবন যাপন করলেও, মানুষকে একটু বিনোদন দিতে পারছেন—এটাই তার আনন্দের বিষয়।