এখানেই শেষ নয়, ওই কমেডি তারকা নিজের অভিযোগে আরও জানান যে, উড়ানের টিকিটের কাটার জন্য তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছিল যে, এই উড়ানের নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। অথচ সেই উড়ানে ছিল ভাঙা টেবিল এবং ভাঙা লেগ রেস্ট।
বীর দাস লিখেছেন যে, “প্রিয় @airindia দয়া করে নিজেদের হুইলচেয়ার পুনরায় উদ্ধার করে আনুন। আমি তো আজীবন বিশ্বস্ততা বজায় রাখব। আমি বিশ্বাস করি যে, আকাশে আপনাদের সবথেকে ভাল বিমানকর্মী রয়েছেন। আর গভীর যন্ত্রণার সঙ্গে আমি এই পোস্টটি লিখছি। আমার স্ত্রী আর আমি প্রণাম এবং একটি হুইলচেয়ার বুক করেছিলাম। কারণ ওর পা ভেঙে গিয়েছে। যা এখনও সারেনি। আমরা দিল্লি যাচ্ছিলাম। একটি আসনের জন্য ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছিলাম। ভাঙা টেবিল, ভাঙা লেগ রেস্ট তো ছিলই। সেই সঙ্গে ওর আসনটা তো হেলানোই যায়নি। আবার পুরোপুরি সোজাও হচ্ছিল না। এদিকে আমাদের বলা হয়েছিল, উড়ানটি ‘নিউলি রিফারবিশড’।”
advertisement
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, “আমার হাতে ছিল ৪টে ব্যাগ। তাই বিমানের সামনে থাকা বিমানসেবিকাদের আমি আমার স্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করি। তবে তাঁরা নীরব ছিলেন এবং একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলেন। আমরা উড়ান থেকে বেরিয়ে সিঁড়ির একেবারে উপরে ছিলাম। তখন এয়ার ইন্ডিয়ার এক পুরুষকর্মীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। অথচ তিনিও প্রথমে চুপ করেই ছিলেন, তারপর আমার কথা যেন কানেই তুললেন না। ভাঙা পা নিয়ে আমার স্ত্রীকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হল। বাসের কাছে গিয়ে একজন এয়ার ইন্ডিয়া স্টাফকে জিজ্ঞাসা করলাম, কী হল? জবাবে তিনি বললেন, ‘স্যার কী করব… সরি’।”
সব শেষে বীর দাস লেখেন, “এরপর আমি একটা চেয়ার জোগাড় করে তাতে স্ত্রীকে বসিয়ে সেটিকে ঠেলতে ঠেলতে ব্যাগেজ ক্লেমের কাছে নিয়ে গেলাম। এরপর একই ভাবে বিমানবন্দরের বাইরের পার্কিংয়ে নিয়ে পৌঁছলাম। কী হচ্ছে, সেটা তো এবার এয়ার ইন্ডিয়ার জানা উচিত। কেউ কিছু জানেনই না। যাইহোক, আমাদের একটা হুইলচেয়ার দিল্লি পার্কিংয়ের তৃতীয় তলে পড়ে রয়েছে। সেটাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান আপনারা।”