বিধু বিনোধ চোপড়া নিজে একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত। তাঁর পরিবারের সকলে ন’এর দশকে কাশ্মিরি পণ্ডিতের ওপর হওয়া অত্যাচার খুব কাছ থেকে দেখেছেন। ‘শিকারা’ নিজের মাকে ডেডিকেট করেছেন বিধু। নিন্দুকেরা বলছেন, ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়া এবং ‘শিকারা’ মুক্তির পাওয়ার সময়টা এক হয়ে যাওয়া, কাকতালিও হতে পারে না।
এই প্রসঙ্গে পরিচালক বললেন, ‘আমি প্রচার বা অর্থে জন্য আমার মা, মায়ের আবেগকে বিক্রি করবো?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রযোজিত প্রতিটি ছবির প্রথম দিনের ব্যবসা ৩০ কোটির ছাড়িয়ে যায়। অর্থের জন্য আমি আরেকটা মুন্নাভাই বানাব। শিকারা-র মতো একটা কম বাজেটের ছবিকে নিয়ে সস্তা প্রচার করব না।’
advertisement
ব্যক্তিগত আবেগ থেকে এই ছবি বানিয়েছেন বিধু। বিশেষ করে এই ছবিটি মনের খুব কাছের তাই চিত্রনাট্য সহজে লিখে উঠতে পারেননি তিনি। লেখার সময় ভেঙে পড়েছেন, আবার নিজেই নিজেকে বুঝিয়েছেন। রাগ- দুঃখ, বেদনার চেয়ে আশার কথা বলতে চেয়েছেন পরিচালক। ‘শিকারা’-তে তাই নিশংসতা সেভাবে দেখাননি তিনি। বিধু আশা রাখেন, কোনও একদিন কাশ্মিরি পণ্ডিতরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। সেই আশার জায়গা থেকেই এই ছবি বানিয়েছেন তিনি। কোনও প্রচার বা অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই তাঁর।
ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে লোকজনের ভিন্ন মত থাকতে পারে, তবে তাঁর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কষ্ট পেয়েছেন বিধু বিনোধ চোপড়া।