তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। থিয়েটার আর্টিস্ট থেকে পর্দার দাপুটে অভিনেত্রী স্বাতীলেখা। ১৯৭০-এর শুরুর দিকে ইলাহাবাদে এ. সি. বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনার অধীনে স্বাতীলেখা থিয়েটারে কাজ শুরু করেন। তিনি বি. ভি. কারাট, তাপস সেন ও খালেদ চৌধুরীর মতো লোকের উৎসাহও পেয়েছেন। ১৯৭৮ সালে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং নান্দীকার নাট্যদলে যোগদান করেন। নান্দীকারে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের নির্দেশনায় তিনি কাজ করতে থাকেন। ১৯৮৪ সালে সত্যজিৎ রায় নির্দেশিত 'ঘরে বাইরে' ছবিতে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তিনি মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরে বাইরে' উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে ছবিটি বানানো হয়েছিল।
advertisement
পরবর্তী কালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে 'বেলা শেষে' ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় ছিল অনবদ্য। অসাধারণ দক্ষ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে টলিমহলে। সকলেই শোকাহত। ২০২০ থেকে ২০২১ একের পর কিংবদন্তী অভিনেতাকে হারিয়েছে টলিউড। এক শোক কাটতে না কাটতেই আর এক শোক হানা দেয়। ২০১১ সালে ভারতীয় থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য তিনি সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অকেডেমি পুরস্কার-সহ বহু পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। শেষ 'বেলা শুরু' ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। তবে ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই চলে গেলেন অভিনেত্রী। তিনি নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে, সোহিনী সেনগুপ্ত। সোহিনীও নাটক থেকে সিনেমায় নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে টলিউডে। সকলেই শোকাহত। অভিনেত্রীর মৃত্যু খবর জানা মাত্রই থমকে গিয়েছেন সকলে।