শুক্রবার হাসপাতাল সূত্রে আশার আলো পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন ৭৭ বছর বয়সি অভিনেতা। তাঁর রক্তচাপ এবং হার্চ রেট স্বাভাবিক হয়েছিল খানিক। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছিল বিক্রমের। চোখ খুলেছিলেন তিনি। প্রায় বিকল হয়ে পড়া হাত-পা নাড়াতে পারছিলেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিনেতাকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল।
advertisement
দু'সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পুণের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন 'হাম দিল দে চুকে সনম' ছবিতে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করা বিক্রম। তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল সঙ্কটজনক।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বিক্রম! ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হতে পারে অভিনেতাকে
তবে মৃত্যুর আগেই গত বুধবার সন্ধ্যায় গোখলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে। কিন্তু পরে জানা যায়, বিক্রমের মৃত্যুর খবর ভুয়ো। তিনি বেঁচে রয়েছেন। তবে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
বলিউডে কয়েক দশকে অসংখ্য সফল ছবিতে কাজ করেছিলেন বিক্রম। 'হম দিল দে চুকে সনম', 'ভুল ভুলাইয়া', 'দিল সে', 'দে দানা দান', 'মিশন মঙ্গল' ইত্যাদিতে তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছিল দর্শককে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর ভুয়ো খবরে বিধ্বস্ত বিক্রমের পরিবার, একাধিক অঙ্গ বিকল সলমনের গুরুর
ছবির পাশাপাশি মঞ্চে এবং ছোট পর্দাতেও বিক্রমের অবাধ বিচরণ ছিল। মরাঠি থিয়েটারে তাঁর অবদান মনে রাখার মতো। ২০১১ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০১৩ সালে মরাঠি ছবি 'অনুমতি'তে অভিনয়ের জন্য তাঁর ঝুলিতে আসে জাতীয় পুরস্কার।