মৃত্যুকালে মাইকেলের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বৃহস্পতিবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন হ্যারির শিক্ষক। পরিবারের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মাইকেল।
পরিবারের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘স্যার মাইকেল গ্যাম্বনের জীবনাবসানের ঘোষণা করে বিধ্বস্ত আমরা সকলে। একজন প্রিয় স্বামী, প্রিয় বাবা ছিলেন। মাইকেলের মৃত্যুর সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অ্যান এবং ছেলে ফার্গাস। হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।’
advertisement
পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় নিয়েই বেঁচেছেন তিনি। ২০০২ সালে প্রথম প্রফেসর ডাম্বেলডোর ওরফে রিচার্ড হ্যারিসের মৃত্যুর পর তাঁকেই পরবর্তী ডাম্বলডোরের চরিত্রে বেছে নেওয়া হয়েছিল। যদিও মাইকেল একবার সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন যে হ্যারি পটারের লেখিকা জে কে রাউলিংয়ের সর্বাধিক বিক্রিত বইগুলির একটিও পড়া হয়নি তাঁর। তাঁর মতে, বইগুলি পড়ে প্রভাবিত না হয়ে চিত্রনাট্য পড়াটাই বেশি নিরাপদ। একটি বই না পড়েও প্রফেসর ডাম্বলডোরের সঙ্গে একাত্ম হতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। ছ’টি ছবিতে সেই জাদুকর এবং শিক্ষক নিজের ছাত্রদের রক্ষা করার জন্য মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারত-সেরার র্যাঙ্কিংয়ে কলকাতার একাধিক স্কুল! কোন স্কুল কত নম্বরে? দেখুন এক নজরে
১৯৪০ সালে আয়ারল্যান্ডে জন্ম তাঁর। পরে লন্ডনেই বড় হওয়া। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার পর মঞ্চের প্রতি প্রেম তাঁকে অভিনয় জগতে নিয়ে আসে। প্রথমবার ‘ওথেলো’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন ডাবলিনে। ১৯৯৮ সালে মঞ্চে অভিনয়ের জন্য বিশেষ উপাধি দেওয়া হয় তাঁকে।