আজও এই শহরে একা একটা মেয়ে বাড়ি ভাড়া নিতে গেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় ৷ বিবাহিত না অবিবাহিত? কী কাজ করেন? স্বামী কী করেন? বাবা কী করেন? বাড়ির লোক কোথায় থাকেন? একা থাকবেন কেন? সঙ্গে কে থাকবে? এমন পরিস্থিতিতে এবার পড়তে হল টলি অভিনেত্রী তুহিনা দাসকে (Tuhina Das) ৷ ‘আসছে আবার শবর’, ‘ভূমিকন্যা’য় দেখা গিয়েছে মেদিনীপুরের মেয়ে তুহিনাকে ৷ অপর্ণা সেনের ‘ঘরে বাইরে আজ’ মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় ৷ ছবিতে অণির্বাণ ভট্টাচার্য ও যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে তুহিনাকে ৷
advertisement
News18 বাংলাকে তুহিনা জানালেন, গত কয়েকমাস ধরেই গল্ফগ্রিন এলাকায় ২ কামরার একটি ঘর খুঁজছেন তুহিনা ৷ অন্তত ২০টি ফ্ল্যাট দেখা হয়ে গিয়েছে তাঁর ৷ বহু জায়গায় টাকা পয়সার কথাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু তাঁর পরেও ঘর পাননি অভিনেত্রী ৷ তুহিনার অভিযোগ, তাঁর পেশার কথা শুনেই পিছিয়ে আসছেন তথাকথিত ‘সফিস্টিকেটেড’ দক্ষিণ কলকাতার বাড়ির মালিকরা ৷ অনেকেই মুখে ভাল ব্যবহার করছেন ৷ কিন্তু ব্রোকারকে দিয়ে বলে পাঠাচ্ছেন, ‘একা মেয়ে থাকবে, তার উপর আবার সিনেমা করে!’ কেউ ঘুরিয়ে বলছেন, ‘আমরা আসলে কোনও ছেলেকে ভাড়া দেব ৷’ কেউ আবার বলছেন, ‘কোনও চাকরি করা মেয়ে হলে অসুবিধা নেই৷’
তুহিনা জানালেন, ‘‘মানুষের অসুবিধাটা কোথায় বুঝতে পারছি না ৷ আমার পেশা নিয়ে? নাকি একা মেয়ে বলে? নাকি অন্য কিছু? এই মানুষগুলোই তো দিনের শেষে টিকিট কেটে আমাদের কাজ দেখতে যান ৷ আসলে মানুষের ধারণা বিনোদন জগতের মানেই সে ভীষণ উচ্ছৃঙ্খল ৷ সে রাত পর্যন্ত পার্টি করে ৷ ঘরে প্রচুর লোক আসে ৷ মোট কথা সে বেশ নিম্নমানের ৷ কিন্তু এটা ভাবার তো কোনও কারণ নেই ৷ এটা তো অন্য সবার মতোই আমারও পেশা ৷’’
এক মাস ধরে কম করে ২০জন বাড়ির মালিক ফিরিয়ে দেওয়ায় অবশেষে ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নায়িকা ৷
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাবর ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তুহিনা ৷ নিজেই জানালেন, কলকাতার স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় গাড়ি চালাতে শেখার পড়েও তাঁকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি ৷