TRENDING:

'হোম কোয়ারেন্টাইনে সবাই বাড়িতে, বই পড়ছি, লেখালেখি করছি,' দিনযাপনের গল্প বললেন ঋতব্রত

Last Updated:

লকডাউন হওয়ার ঠিক আগে, বন্ধু ঋদ্ধি সেনের শর্টফিল্মে কাজ করছিলেন ঋতব্রত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতাঃ ১০ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর অভিনীত ছবি 'রক্ত রহস্য'। ছবির প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছিল। একটি গানও মুক্তি পেয়েছে।  হঠাৎ থমকে গেল, শহর। বলা ভাল গোটা বিশ্ব। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। লক ডাউনে দেশ। সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে ক্রীড়া দুনিয়া এবং সিনেমা জগতের ব্যক্তিত্বরা। সকলের মত হোম কোয়ারেন্টাইনে অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। নিজের দিনযাপনের কথা ভাগ করে নিলেন নিউজ 18 বাংলার সঙ্গে।
advertisement

লকডাউন হওয়ার ঠিক আগে, বন্ধু ঋদ্ধি সেনের শর্টফিল্মে কাজ করছিলেন ঋতব্রত। এডিট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এডিট হয়নি। তার আগেই অচল হয়ে গিয়েছে গোটা শহর। গৃহবন্দি সকলে। তবে বাড়িতে থাকা ব্যাপারটায় খুব একটা আপত্তি নেই ঋতব্রতর। এই প্রসঙ্গে ঋতব্রত বললেন, 'আমার সঙ্গে অনেকেরই মতে মিলবে না। এই যে লোকজন পাগল হয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে বসে থেকে। সকলে বলছেন, বোর হয়ে গিয়েছি। তিন-চারদিন হয়েছে মাত্র তারমধ্যেই অস্থির হয়ে উঠছে। আমার কিন্তু বেশ ভাল লাগছে। আমি খুব খুশি এমনটা বলব না, পরিস্থিতি খুব খারাপ। কিন্তু আমার বাড়িতে থাকতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। কত কিছু তো করার মত রয়েছে। প্রচুর সিনেমা, সিরিজ, লেখালেখি করা, গল্প বই পড়া, অপশন কম নাকি।'

advertisement

বেশ কিছু লেখালেখির কাজ বাকি ছিল অভিনেতার। গৃহবন্দি থাকায় সে সব কাজ সেরে ফেলছেন। টানা অনেক দিন কাজ করার পর ছুটি পাওয়ার মতই তাঁর কাছে কোয়ারেন্টাইনের এই সময়। তবে এই ছুটিটা প্রত্যাশিত ছুটি নয়। এটুকুই তফাৎ। জেনারেশন 'Y' এর হয়েও ঋতব্রত ঘরে থাকতেও  স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে । তিনি বললেন, 'আমি কোনদিনই খুব একটা বেড়িয়ে, আড্ডা দিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে, রাত করে বাড়ি ফিরি, এমনটা নয়। শ্যুটিং না থাকলে, কলেজের ক্লাসের পর যদি নাটকের মহরা না থাকে বা অন্য কোন কাজ না থাকে, তাহলে বাড়িতেই ফিরে আসি। বাড়িতে থাকতে তেমন কোনও অসুবিধা হয় না। আমার যে খুব একা স্পেস প্রয়োজন, সেটাও  নয়। লোকে আমাকে খুব সোশ্যাল বলে, কিন্তু এরকম সোশ্যালাইজ করতে আমার ভাল লাগে না।' পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে ছবি দেখতে, একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করতে, সময় কাটাতে ভাল লাগে।

advertisement

ঋতব্রত একটু ঘরকুনো, তাই বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে বেশ মজা করে। তাঁর কথায়, 'আমি কিছু বললেই বন্ধুরা বলে, তুই কিছু বলতে আসিস না। তুই বরং বাড়িতে থাক। তোর মা-বাবা মনে হয় ভাল ছেলে হওয়ার জন্য রোজ তোকে একটা করে মেডেল দেন। আসলে আমি বোধহয় একটু ব্যাকডেটেড। সবসময় হোয়াটসঅ্যাপে চেক করি না। দু'দিন পর হয়ত দেখলাম। অনেক সময় কাজ থাকে। কিন্তু কাজ না থাকলেও আমি একটু নিজের খেয়ালে থাকি। লোকে বলে আমার একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ আছে। এটাও বলে তাই নাকি আমার প্রেম টেকেনি।'

advertisement

বাড়িতে থাকলে বাবা-মা সব ছেলে-মেয়েকেই নিজের ঘর গোছাতে বলেন। ঋতব্রতের মা-ও একই কথা বলছেন তাঁকে। তাঁর আলাদা কোনও শোয়ার ঘর নেই। তবে একটা বই খাতা রাখার ঘর আছে। সেই ঘরটা ঋতব্রতর খুব প্রিয়।  সেখান থেকেই বেশ কিছু না পড়া বই বার করেছেন। লকডাউন এর মধ্যে এসব বই পড়ে শেষ করার জন্য। ছোটবেলা থেকেই নাটকের সঙ্গে যুক্ত। বাবা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় নাটকের মানুষ। ছবি, ছোট পর্দা থাকলেও মন টানে নাটক। অভিনেতা জানান, বাবা, আমি আর আমাদের থিযেটারের সদস্যরা বাড়িতে বসে একটা ফান্ড তৈরি করার চেষ্টা করছি। থিয়েটার জগতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা কাজ না করলে টাকা পান না। তাঁর কথায়, 'এই ফান্ড তাঁদেরই জন্য। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা মাত্র।'

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
১৭ রাজ্য পাড়ি দিয়ে শান্তির বার্তা — স্কুটিতে একা অভিযানে বর্ধমানের শিক্ষিকা
আরও দেখুন

ARUNIMA DEY

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
'হোম কোয়ারেন্টাইনে সবাই বাড়িতে, বই পড়ছি, লেখালেখি করছি,' দিনযাপনের গল্প বললেন ঋতব্রত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল