প্রথম ছবি পরিচালনাতেই জাতীয় পুরস্কার ! এটা আপনার কাছে কতটা পাওনা?
"এ প্রাপ্তির কথা তো আর বলে বোঝানো যায় না। তবে হ্যাঁ আমার সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে। জাতীয় পুরস্কার আমার ছবির জন্য আমি পেয়েছি এর থেকে আনন্দের আর কিই বা হতে পারে।"
আপনি 'কেদারা'র জন্য কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে কেন নিয়েছিলেন?
advertisement
"কৌশিকদা ছাড়া এই অভিনয়টা অন্য কেউ করতে পারতেন না। ছবিটা মুক্তি পেলে সকলে বুঝতে পারবেন কেন কৌশিকদাকে নিয়েছিলাম। আমি কৌশিকদাকে গল্পটা বলার পর উনিও খুব পছন্দ করেছিলেন। এছাড়াও এই ছবিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই চরিত্রগুলোর জন্য পারফেক্ট। তাঁদের ছাড়া এই ছবি হত না। এই পুরস্কার শুধু আমার নয় আমাদের সবার।"
সঙ্গীত পরিচালক থেকে একেবারে ছবি পরিচালনা! এই যে হঠাৎ দিক পরিবর্তনের কারণ?
"আমি কোনও কিছুই ভেবে করিনি। একদিন মনে হয়েছিল গান নিয়ে কাজ করবো, করেছি। তেমনই আমার মানুষকে অনেক কিছু বলার আছে। আর তার জন্য তো সিনেমাই সবচেয়ে বড় মাধ্যম। তবে হ্যাঁ প্রায় সারে তিন বছর ধরে ভাবছিলাম কাজটা করবো। সিনেমার বন্ধুদর সঙ্গে খাই, ঘুমাই, উঠি বসি। তাই ভাবনা একটা মাথাতেই ঘুরত। তাই করেই ফেললাম। তবে জাতীয়স্তরে এত বড় সাফল্য আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি।"
এর পর কি ছবির কথা ভাবছেন?
"আমার একটা ছবির শ্যুটিং শুরু হবে সামনেই। সেটা আমি এখনই কিছু বলবো না। সামনের সপ্তাহতেই আমি সবার সামনে আনবো ছবির কথাটা। এছাড়া তো গানের কাজ রয়েছেই। 'গুমনামী বাবা'র সঙ্গে আরও বেশ কিছু কাজ রয়েছে আমার হাতে।"
এই পুরস্কার প্রাপ্তিকে আপনি কিভাবে সেলিব্রেট করছেন?
"এইটাই তো মুশকিল। সেলিব্রেট করার আর সময় পেলাম কই! কাল থেকে সারাদিন একের পর এক ফোন রিসিভ করছি। সকলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আমার দিদি থাকেন আমেরিকায় সে ফোন করেছে। তারপর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে আজ আটটার মধ্যে বেড়োতে হয়েছে। একের পর এক ইন্টারভিউ চলছে। খুব ক্লান্ত লাগছে এবার। বাড়িতে এসে এই একটু বিশ্রাম নিতে পারছি। সত্যি কথা বলতে কি আমি খুব ক্লান্ত। পছন্দের বাজারটাও করতে যেতে পারেনি। বাজার করাটা আমার পছন্দের কাজের মধ্যে একটা। তবে সত্যি বলছি মানুষ যে আমায় কতটা ভালবাসে তা বুঝতে পারছি। আর এই ভালবাসা পাওয়াটাই তো সবচেয়ে বড় সেলিব্রেশন।"