এই ছবিতে অমিতের ভূমিকায় থাকছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ৷ আর লাবণ্য হয়েছেন মমতা শঙ্কর ৷ ট্রেলার লঞ্চে মমতা শঙ্কর বললেন, ‘‘যখন আমার অল্প বয়স, তখন ভাবতাম কেউ যদি আমার লাবণ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেন, তো খুব ভাল হয় ৷ আসলে রবি ঠাকুরের লেখা এই লাবণ্য চরিত্রটি আমার স্বপ্নের চরিত্র ৷ অনেক ছবির অফার আসতো ৷ কিন্তু লাবণ্যর চরিত্রটি কেউ দেননি ৷ বয়স বেড়ে গিয়েছে ৷ আর এই বয়সের যথোপযুক্ত একটি চরিত্র একদিন আমায় অফার করেন এই ছবির পরিচালক জিৎ ৷ জানতে পারি এই লাবণ্যর চরিত্রের জন্যই তিনি আমাকে চাইছেন ৷ আমার যে তখন কী আনন্দ! আমার সেই সাধ পূর্ণ হল ৷ আজকের লাবণ্য এক্কেবারে আধুনিক ৷ এখনকার সময়ের মতো করে ৷’’
advertisement
ছবির পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী ৷ এটাই তাঁর প্রথম ছবি ৷ কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নন ৷ এর আগে প্রচুর ধারাবাহিক, টেলিফিল্ম এবং ছবিতে অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন ৷ নিজের ছবির ট্রেলার লঞ্চে ‘ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ’জিৎই নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলেন সবচেয়ে বেশি ৷ সোনালি সুতোর বাহারি নকশা করা সফেদ পাঞ্জাবি আর মেরুন-রঙা ধুতিতে তখন ‘শেষের গল্প’-এর পরিচালক ৷ প্রথম ছবিতেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং মমতা শঙ্করের সঙ্গে কাজ কেমন সেই অভিজ্ঞতা? প্রশ্ন শুনেই এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে জিতের উত্তর-‘‘এটা আমার কাছে প্রাপ্তি ৷ পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবিতেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং মমতা শঙ্করকে পাওয়া তো পরম ভাগ্যের ব্যাপার ৷ আসলে আমার এই কাস্টটা কিন্তু স্বপ্নে দেখা ৷ একদিন স্বপ্নে তাঁদেরকেই অমিত আর লাবণ্য হিসেবে দেখেছিলাম ৷ ছবিতে অনেক বছর পর মমদির অল্প নাচ আছে।’’
ছবিতে এছাড়াও রয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণকিশোর মুখোপাধ্যায়, পল্লবী চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়, অর্ণ মুখোপাধ্যায় এবং দুর্গা সাঁতরা। ছবির ডিরেক্টর অফ ফোটোগ্রাফার হলেন সৌভিক বসু ৷ স্বস্তিকা ফিল্ম প্রোডাকশন ও বায়ো সিনে এন্টারটেমেন্টের যৌথ প্রযোজনার এই ছবিতে গানঘরের দায়িত্ব সামলেছেন জয় সরকার ৷ ছবিতে গান গেয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী, অনুপম রায়, সোমলতা আচার্য, রূপঙ্কর বাগচি, কৌশিকী চক্রবর্তী।