রুদ্রনীল এই পোস্টে জয়ী দল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "২১শের ভোট যুদ্ধ শেষ। মানুষের রায়ে আশাতীত সাফল্যে প্রথম স্থানে তৃণমূল এবং দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। সিপিএম ও কংগ্রেস শূন্য। জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন। যারা জয়ী হলেন না, তাঁদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ। সব রাজনৈতিক দলের ভোটার, সমর্থক ও কর্মীদের ভালবাসা জানাই। নির্বাচনে হার জিত থাকেই। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে আমায় হারিয়ে জয়ী হয়েছেন শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওঁনাকে অভিনন্দন।"
advertisement
রুদ্রনীলেরই আরও দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবার তৃণমূলের হয়ে লড়েছেন এবং জয়ী হয়েছেন। তাঁদের সম্পর্কেও অভিনেতা বলছেন, "সদ্য রাজনীতিতে পা দিয়েই জয়ী হয়েছেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাজ চক্রবর্তী ও কাঞ্চন মল্লিক। দুজনকেই শুভেচ্ছা।"
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে রুদ্রনীল বলেছিলেন, তিনি দলে থেকে কাজ করতে পারছে না। সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি লিখেছেন, "আশা করব প্রথা পালটে তৃণমূল এদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবে এবার। এই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। যে কোন কেউ হারুন বা জিতুন, নতুন সরকারে যেন ফের দূর্নীতি না জেতে সেটাই কাম্য। জিতুক বাংলার সাধারণ মানুষের সত্যিকারের উন্নয়ণ, জিতুক বাংলার বেকারদের চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন, জিতুক স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার পরিকাঠামো ও পুলিশের শিরদাঁড়া। হারুক ক্ষমতার আস্ফালন আর গুন্ডামি। জিতুক বাংলার শরীর ও মন।"
২১শের ভোট যুদ্ধ শেষ। মানুষের রায়ে আশাতীত সাফল্যে প্রথম স্থানে তৃণমূল এবং দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। সিপিএম ও কংগ্রেস শূন্য।...Posted by Rudranil Ghosh on Sunday, 2 May 2021
মুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাস হয় সেই পোস্ট। সেই পোস্ট ঘিরে ফের ট্রোল হন অভিনেতা। কেউ লেখেন, "এবার তাহলে আপনি কোন দলে যাবেন?" কেউ আবার লেখেন, "এবার আপনার শুধু আইএসফ-এই যোগ দেওয়া বাকি।"
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কেন্দ্র। কিন্তু ২০২১ এর নির্বাচনে এই কেন্দ্র ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে লড়তে যান। এই বিষয়ে রুদ্রনীল বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন তিনি হেরে যাবেন। তাই তিনি পালিয়ে গিয়েছেন।