আর এ বার তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য শহরের প্রতিটি সাধারণ শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো । এই তিলোত্তমাকে দেশের প্রথম শহর হিসাবে গড়ে তোলা, যেখানে শহরের প্রতিটি পাবলিক টয়লেটে বিনামূল্যে প্যাড পাওয়া যাবে । যাতে শুধু আপদকালীন হিসাবে যে কেউ স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারবেন তাই নয়, যাঁদের সামর্থ্য নেই এমন মহিলারাও তা ব্যবহার করতে পারবেন প্রয়োজন মতো ।
advertisement
সদ্যই হিন্দি গানের জগতে পা রেখেছেন ঋতাভরী । সর্বগুণসম্পন্না নায়িকার ‘সাওন’ অ্যালবামটি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা তুমুল হিট হয়েছে । এর আগে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতেরও অ্যালবাম বের করেছিলেন ঋতাভরী । তবে এই প্রথম নিজের লেখা হিন্দি গান গাইলেন নায়িকা ।
বড় পর্দায় ঋতাভরীর শেষ মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’র প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ছিল ছক ভাঙার গল্প । কুসংস্কার, গোঁড়ামি, আচার-বিচারের বেড়াজাল সরিয়ে নারী স্বাধীনতার ধ্বজা উড়িয়েছিলেন পর্দার শর্বরী । কলকাতার প্রথম মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিকের জীবন ভিত্তিক এই ছবিতে পৌরহিত্যই ছিল শর্বরীর ধ্যানজ্ঞান । সেখানেও ঋতাভরীকে দেখা গিয়েছিল, গরীব মহিলাদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করতে । তাঁদের মাসিক চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাঠ দিতে । সেই ছবিতে ঋতাভরী বলেছিলেন, ‘‘মা সারদা মাসিক চলাকালীন নিজে ঠাকুরের জন্য রান্না করতেন, পুজো করতেন। আর সেটা শ্রী রামকৃষ্ণের অমতে নয়, তাঁর ইচ্ছেতে...।’’
শুধু রুপোলি পর্দায় নয়, এ বার নিজের বলা সেই ডায়লগকে যেন বাস্তবের মাটিতেও প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন ঋতাভরী । বাংলার প্রথম প্যাডম্যান বলে পরিচিত শোভনের পরিকল্পনায় বন্ধু রাহুলের সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতার সব টয়লেটে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি । ইতিমধ্যেই প্রায় শ’খানেক শৌচাগারে এই কাজ শেষ হয়েছে । কিন্তু করোনা ও লকডাউনের কারণে বর্তমানে সেই কাজ এখন স্থগিত রয়েছে । সম্প্রতি ছিল Menstrual Hygiene Day । সেই উপলক্ষ্যে একটি বাংলা দৈনিকে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, খুব শীঘ্রই আবার কাজে হাত দেবেন তিনি । নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেই ছাড়বেন ।