শহর কেন্দ্রিক জীবন মানেই তাতে জুড়ে থাকে নির্জনতা, বিষাদ৷ যার মধ্যে প্রাণের খোঁজ করেন পরিচালক৷ এই শহরের প্রক্ষাপটে সম্পর্কের জাল বুনতে তিনি পারদর্শী৷ তাই তো তিনি আমাদের উপহার দিলেন ময়ূরাক্ষী-বিনিসুতো-রবিবারের ট্রিলজি৷ প্রতিটি ছবিতে দু’জন মানুষের মধ্যে একটি গল্প তৈরি করেছেন পরিচালক৷ 'ময়ূরাক্ষী ছবিতে ছিল বাবা-ছেলের গল্প৷ বিনিসুতোয়ে সম্পূর্ণ দু’জন অচেনা মানুষের সম্পর্ক এবং রবিবারে থাকছে দু’জন চেনা মানুষের ফিরে আসার গল্প৷ তবে রবিবার ছবিতে ১৫ বছর পর সায়নী-অসীমাভর দেখা হলেও, তারা কিন্তু একে অপরের কাছে ফিরছে না', বললেন অতনু৷
advertisement
পরিচালকের কথায়, 'জয়া এহসানের চরিত্রটি ভীষণ স্বাধীনচেতা এক লেখিকার৷ ১৫ বছর পর তাঁর জীবনে অসীমাভ অর্থাৎ প্রসেনজিতের জন্য বিরাট জায়গা জুড়ে প্রেম নেই৷ তবে চেনা যে সমীকরণ ছিল, তা পাল্টে যাবে এই একদিনের ঘটনায়'৷ মুক্তি পেয়েছে রবিরার ছবির ট্রলার৷ ১৫ বছর পর সায়নী-অসামাভের সম্পর্কে অনেকটাই ছেদ পড়েছে সেটা বেশ বোঝা গেল৷ তবে কেউ কিন্তু কাউকে ভোলেনি৷ মনে রয়েছে দু’জনের সব অভ্যেসের কথা৷ ছবিতে কিছুটা থ্রিলারের আভাসও মিলেছে৷ এই প্রথমবার তারা একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন৷ 'দু’জনেই তুখর অভিনেতা', জানিয়েছেন অতনু৷ রবিবার মুক্তি পাবে ২৭-এ ডিসেম্বর৷ অতনু ঘোষের ট্রিলজির এটাই শেষ ছবি৷ দু’জনেই অসম্ভব দক্ষ অভিনেতা৷ নিজেদের অভিনয় ক্ষমতাকে ভাঙা-গড়ার মধ্যে নিয়ে চলেছেন সবসময়৷
তবে এখনও মুক্তি পায়নি বিনিসুতো৷ ধাপে ধাপে না দেখলে দর্শকদের অসুবিধা হবে না? 'একেবারেই না৷ ছবিগুলি সম্পূর্ণ আলাদা৷ মিল শুধু গল্প বলার ক্ষেত্রে৷ দু’জন মানুষের সম্পর্ক এবং শেষে যেভাবে ঘটবে তাদের আত্ম অণ্বেষণ, সেটাই এক সুতোয়ে বেঁধেছে এই তিনটি ছবিকে', স্পষ্ট করেছেন অতনু ঘোষ৷ আপাতত প্রসেনজিৎ-জয়া অভিনীত রবিবার ছবির অপেক্ষায় সিনেমাপ্রেমীরা৷
