মঙ্গলবার ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে এজবাস্টনের গ্যালারিতে তাঁকে হুইলচেয়ারে আবিষ্কার করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তারপরেই ৮৭ বছরের ‘তরুণী’ এই ভারচীয় ফ্যানের ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর কে এই ভক্ত ? জানা যায়, প্রবাসী বাঙালী ওই বৃদ্ধার নাম চারুলতা প্যাটেল ৷ তাঁর জন্ম তানজানিয়াতে হলেও, বাবা-মা দু’জনেই ভারতীয় ৷ তাই দেশের প্রতি আলাদা একটা টান সব সময়ই অনুভব করেন চারুলতা ৷ ১৯৮৩-র বিশ্বকাপের ফাইনালেও গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি ৷ আর মঙ্গলবার বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারত-বাংলাদেশের দ্বৈরথের মধ্যে প্রায় সমস্ত লাইম লাইটটাই কেড়ে নিয়ে গেলেন তিনি ৷ যা ২-৪ ফোঁটা পড়ে রইল তাঁর ভাগ পেলেন রোহিত-শাকিবরা ৷
advertisement
চারুলতাকে নিয়ে যখন উন্মাদনার স্রোত বইছে তখনই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও আটকে রাখতে পারলেন না নিজেকে ৷ বিরাটকে আদর করার চারুলতার একটি ছবি তিনি পোস্ট করলেন নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ৷ সঙ্গে ক্যাপশনটি ছিল মন ছুঁয়ে যাওয়া ৷ রবি ঠাকুরের লেখা ‘হে মোর চিত্ত, পূণ্য তীর্থে’ থেকে বিখ্যাত কয়েকটি লাইন-
‘‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে
যাবে না ফিরে,
এই ভারতের মহামানবের
সাগরতীরে।’’
গতকাল ছিল এমন একটা দিন, যেদিন বাঙালি হিসেবে গর্ব করা যায় ৷ এ দিনই বিশ্বকাপের জাতীয় মঞ্চে একসঙ্গে বেজে উঠল দু’টি জাতীয় সঙ্গীত ৷ যে দু’টিই একজন বাঙালির লেখা ৷ দু’টি রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুরে উঠে দাঁড়াল গোটা গ্যালারি ৷ অভাবনীয় ছাড়া আর কীই বা বলা যায় এই ঘটনাকে?
বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ চারুলতাও যেন সকলের কাছে তেমনই বিষ্ময়ের অবতারণা করলেন ৷