#কলকাতা: গোলন্দাজ । এই ছবিতেই ভারতীয় ফুটবলের জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর ভূমিকায় যে দেব অভিনয় করছেন তা পরিষ্কার হয়ে গেলেও এতদিন বাকি কাস্ট সম্পর্কে কিছুই জানা যাচ্ছিল না। ২৬ তারিখ মুক্তি পাবে গোলন্দাজের পোস্টার। তার আগেই সামনে এলো বাকি কলাকুশলীদের নাম ও তাঁদের ভূমিকা।
গোলন্দাজ-এর সারপ্রাইজ এলিমেন্ট হতে চলেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এসভিএফ-এর ব্লু আইড বয় এখানে একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ভার্গবের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। প্রসঙ্গত ব্যক্তিগত জীবনেও ফুটবলের বড় ভক্ত অনির্বাণ।
advertisement
শোভাবাজারের রাণি কমলিনীর ভূমিকায় ইশা সাহা। স্ত্রী কমলিনী হলেন নগেন্দ্রপ্রসাদের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট সিস্টেম। ইন্দ্রাশিস রায় করছেন জিতেন্দ্রর চরিত্র। নির্ভীক, সাহসী জিতেন্দ্রর মাতৃভূমির প্রতি টানই তাঁকে ব্রিটিশ বিরোধী করে তোলে। আমেরিকান অভিনেতা অ্যালেক্স ও নেল অভিনয় করছেন মেজর জ্যাকসনের ভূমিকায়। সেই সময়ের অন্যতম সফল ব্রিটিশ ফুটবল দল ইস্ট সারের অধিনায়ক এবং অত্যন্ত দক্ষ ফুটবলার ছিলেন জ্যাকসন। নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর বাবা সূর্যকুমার সর্বাধিকারীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রীকান্ত আচার্য। সূর্যকুমারের দাদা প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিচালক ও অভিনেতা জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। যিনি সেই সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও ছিলেন। জন ভট্টাচার্য নগেন্দ্রপ্রসাদের অনুজ ও বন্ধু বিনোদের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। বিনোদ আবার দক্ষ ফুটবলারও। আরেক অনির্বাণ ভট্টাচার্য অভিনয় করছেন নবাঙ্কুরের ভূমিকায়, যে প্রতি মুহূর্তে নগেন্দ্রপ্রসাদকে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে । ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নাড়ু। যে নগেন্দ্রপ্রসাদের ছোটবেলার বন্ধু। যদিও নাড়ুর চরিত্রে কে অভিনয় করছেন তা ঠিক হয়নি।
পরিচালনার পাশাপাশি ক্রীড়া সাংবাদিক দুলাল দে’র সঙ্গে জুটি বেঁধে গল্প লিখেছেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনেমাটোগ্রাফার সৌমিক হালদার । গীতিকার শ্রীজাত, সঙ্গীত পরিচালনার ভার রয়েছে বিক্রম ঘোষের হাতে।
শুধুমাত্র নগেন্দ্রপ্রসাদের কথাই বলবে না গোলন্দাজ। বলবে তার সময়ের কথা, তৎকালীন সমাজের কথা, ভারতবর্ষের ইতিহাসের কথা, ফুটবল থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইকে অনুপ্রেরণা যোগানোর কথা। তাই এই ছবিকে নগেন্দ্রপ্রসাদের বায়োপিক বলতে একেবারেই রাজি নন পরিচালক। ১৮৯২ এর সময়কালকে কিভাবে এই সময়ে ফুটিয়ে তোলেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।