‘সাহেবের কাটলেট’-এর আগে একটু কাটলেট-এর ইতিহাস ঘেটে দেখা যাক। কাটলেট এমনিতে বিদেশী খাবার। কলোনিয়াল শাসনের সময়ে তা বাংলায় ঢুকে পড়ে। একটু বাঙালিদের মতো করে তার স্বাদও বদলায়ও। তারপর একেবারে বাঙালি খাবারই হয়ে ওঠে। বিদেশি মনের দেশি হয়ে ওঠার গল্পই বলে অঞ্জন দত্তের ‘সাহেবের কাটলেট’।
একজন কন্টিনেন্টাল শেফ, সে একেবারেই বিদেশি খাবার বানায়। রান্না করতে ভালওবাসে, তবে মেজাজের পারদ একটু চড়া। তাই জন্য খোয়া যায় শেফের চাকরি। তারপর বাঙালি জলখাবার বানানোয় মন দেয় সে। এবং এসব বানানোও যে কন্টিনেন্টাল খানা তৈরি করার চেয়ে সহজ কিছু নয়, তা বুঝতে পারে। এই ঘটনাকে ঘিরেই এগিয়েছে ছবির গল্প। শেফের ভূমিকায় দেখা যাবে অর্জুন চক্রবর্তীকে। এই ছবিতে খল চরিত্রে দেখা যাবে সুপ্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
advertisement
পরিচালনা পাশাপাশি এই ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করবেন অঞ্জন দত্ত। রয়েছেন অম্বরীষ এবং কাঞ্চন মল্লিকও। ‘ফাইনালি ভালবাসা’-তে অঞ্জন দত্তর সঙ্গে কাজ করেছেন অর্জুন। ‘ব্যোমকেশ গোত্র’-র পর থেকে অর্জুন চক্রবর্তীর কেরিয়ারে খুলে গিয়েছে নতুন দিক। পরিচালক-প্রযোজকদের কাছেও অর্জুনের চাহিদা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু 'সোলো হিরো' ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘লভ আজকাল পরশু’-তেও দর্শক পছন্দ করেছেন তাঁকে।
ছবির শ্যুটিং প্রায় শেষ। ব্যান্ডেল, চন্দন নগর এবং বালি অঞ্চলে ছবির শ্যুটিং হয়েছে। অঞ্জন দত্তর শেষ দু’টো ছবি ‘আমি আসবো ফিরে’ এবং ‘ফাইনালি ভালবাসা’র বিষয়বস্তু ছিল বেশ গভীর। ‘সাহেবের কাটলেট’-এর মতো হালকা মেজাজের ছবিতে অঞ্জন দত্তের সিগনেচার ছাপ দেখতে মুখিয়ে দর্শক।
ARUNIMA DEY