তাঁর পুত্র রৌদ্র মিত্র সমাজমাধ্যমে এই খবর জানিয়ে লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রে ৬বারের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী (স্বর্ণকমল ও রজতকমল মিলিয়ে), ঋজু শিরদাঁড়া, জেদি এবং বরাবরই স্পষ্টবাদী আমার বাবা, রাজা মিত্র আজ গভীর রাত ৩টের সময়ে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে প্রয়াত হয়েছেন।’
advertisement
প্রিয় ‘রাজাদা’কে নিয়ে অতনু ঘোষ লিখেছেন, ‘রাজাদা চলে গেলেন। রাজা মিত্র। যাঁর ‘একটি জীবন’ বাংলা ছবির ইতিহাসে মাইলফলক। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরও কত কাজ- নয়নতারা, যতনের জমি, বীরভূমের স্ক্রোল পেইন্টার্স বা কালীঘাট পেইন্টিং তথ্যচিত্র। খুব সম্ভবত দূরদর্শনে প্রথম আলাপ। এমনিতেই আমি জাত মুখচোরা, আর উনি অত নামী মানুষ। তারপর বুঝি বড় পরিচালকের কোনও ভার নেই, দিব্যি সহজে কথা বলা যায়, প্রশ্ন করা যায়। পরে যখন যেখানে দেখা হয়েছে, অনায়াসে কাঁধে হাত তুলে দিয়েছেন- ‘ওটা দেখলাম। বেশ করেছো, এখন কী ভাবছ?’ অনেকটা অক্সিজেন পেয়েছি। আমার মত আনকোরার কাজ রাজা মিত্র দেখেছেন, দেখেন? একবার গোর্কি সদনের গৌতমদা (ঘোষ) নতুন টেলিফিল্ম করিয়েদের উৎসাহ দিতে এক সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেছেন। আমার সেশন শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ দেখি রাজাদা দর্শকদের মধ্যে এসে বসলেন।আমি অবাক, হতবম্ব। ভাবলাম হয়তো কোনও কাজে এসেছেন। ‘না না, তোমার কথা শুনতেই এলাম!’ অকপট, স্পষ্টবাদী। সেদিন বুঝেছিলাম, যিনি প্রকৃত শিল্পী, তিনি কাঁচাদের পাশে দাঁড়ান, রাস্তা দেখান, এগিয়ে দেন…সশ্রদ্ধ প্রণাম, ভালোবাসা রাজাদা।’
১৯৮৭ সালে রাজা মিত্র পরিচালিত ‘একটি জীবন’ জাতীয় পুরস্কার পায়। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ‘কালীঘাট পেইন্টিংস অ্যান্ড ড্রয়িংস’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার জন্য ‘স্বর্ণ কমল’, ‘রজত কমল’ পুরস্কার পান রাজা মিত্র। ‘ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার’ও পেয়েছেন প্রয়াত পরিচালক ।
আরও পড়ুনঃ বাজার ছেয়েছে ভুয়ো IRCTC অ্যাপ, ওয়েবসাইটে! আপনার ফোনের অ্যাপ আসল তো? কীভাবে শনাক্ত করবেন নকল? জানুন
সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। দীর্ঘদিন পরিচালক গৌতম ঘোষের সহকারী হিসেবে কাজ করেন রাজা মিত্র। ছিলেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি মেম্বার ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন রাজা মিত্র ৷