ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দার বেশিরভাগ অভিনেতা অভিনেত্রীরাই সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করেন। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী এমিলা ভট্টাচার্য প্রতিবছরই গণেশের পূজা করেন। তবে এই বছর মহা ধুমধাম করে তাঁর আরবানার আবাসনে পুজোর আয়োজন করেছেন। পুরো পরিবার এবং তাঁর ধারাবাহিক "মৌ এর বাড়ি"-এর গোটা টিম উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ত্রমিলার কথায়, "প্রত্যেকবারই বাড়িতে একেবারে বাঙালি রীতিনীতি মেনে গণেশ পুজো করি। তবে এবার মনে হল যে একটু বড় করে পুজোটা করব। সিদ্ধিদাতা গণপতি নিজেই সেই আয়োজন করে দিলেন। সেই সঙ্গে অতিথি খাওয়া-দাওয়া এগুলো তো রয়েছেই । কোথাও যেন নেক্সট নরমালে ফেরা।”
advertisement
আরও পড়ুন: বচ্চন পরিবারের সঙ্গে ঋতুপর্ণ ঘোষের ছিল হৃদয়স্পর্শী সম্পর্ক! রইল যোগসূত্র...
ছেলের আবদার মেনে বাড়িতে নিজের মতো করে গণেশ পুজো করেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। এবারও বাড়িতে গণেশ পুজো করেছেন আর গণপতির আরাধনায় তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর ছেলে ঝিনুক। ছেলে গণেশের বড় ভক্ত তাই তাঁর আবদার মেনে ঘরোয়া ভাবে গণেশ পুজো করে থাকেন শ্রাবন্তী।
আরও পড়ুন: শুধু মুম্বই নয়! দেশের জনপ্রিয় এই ৪ শহরে ধুমধাম করে পালিত হয় গণেশ পুজো
টলিপাড়ায় সবথেকে বেশি দিন ধরে গণেশ পুজো করে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাপিয়া দেবরাজন। এবারও তাঁর ধারাবাহিক "ক্যানিংয়ের মিনু " এ র লাইট ক্যামেরা আকশনের এর ব্যস্ততা সরিয়ে সিদ্ধিদাতা বিনায়কের উপাসনায় মেতেছেন পাপিয়া। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ক্যানিংয়ের মিনুর টিমেৱ সদস্যরা। পাপিয়া জানালেন যে, টলিউডে যখন গণেশ পুজোর চল সেভাবে ছিল না, প্রায় ১৭ বছর আগে তিনি পুজো চালু করেন এবং তাঁর বাড়ির পুজোতে ইন্ডাস্ট্রির সকলেই আসতেন। প্রতিবারের মৃৎশিল্পীর তৈরি করা মূর্তি পছন্দ না হওয়ায় পাপিয়া নিজেই চলে যান কুমারটুলিতে। সেখান থেকে বিশাল মাপের গণেশের মূর্তি কিনে আনেন।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই গণেশের ভক্ত এবং গণেশ পুজো করে থাকেন। অভিনেত্রী নুসরত জাহানও। তিনি প্রত্যেক বছরই গনেশের আরাধনা করে থাকেন। তবে বিগত দু'বছর ধরে পারিবারিক অসুবিধে থাকায় গণেশ চতুর্থী পালন করতে পারছেন না সেইভাবে। তবে নুসরতের বক্তব্য, "গণেশের কাছে একটাই প্রার্থনা, যেন সকলের মনটাকে ভালো রাখেন, মন ভালো থাকলেই মানুষ এবং তাঁর চারপাশ ভালো থাকে এবং সকলকে ভাল রাখতে পারে। এটাই আমার প্রধান প্রার্থনা গণপতির কাছে।"
অভিনেত্রী সঞ্চালক সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ও গণেশ বন্দনা করেন। ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে গণপতি উৎসবে শামিল তিনিও। এবারও সুদিপা তাঁর শাড়ির বুটিকে গণেশের পুজো করেছেন এবং সুদীপার কথায় "প্রতিবারই পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর ছোট্ট ছেলে গণেশের বিসর্জনকে ঘিরে কান্না জুড়ে দেয় । গণেশ বিসর্জন দেওয়া যাবে না । তাই সুদীপা সারা বছরই তাঁর স্টোরে গণেশের মূর্তিটি রেখে দেন।"
এছাড়া টলিপাড়ার অনেকেই নিজের মতো করে বাড়িতে অথবা আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে গণেশ উৎসবে শামিল হন।