অভিনেত্রী রুক্মিণী বলেন, ছবিতে দিঘা এবং মন্দারমনির প্রচুর দৃশ্য রয়েছে। সমুদ্রতটের সৌন্দর্য, ঢেউয়ের ছন্দ, বালিয়াড়ির নির্জনতা— সবটাই ছবিতে ফুটে উঠেছে। ছবিতে দেখা যাবে দিঘার সমুদ্রে হাঁটা মানুষের পায়ের ছাপ থেকে শুরু করে সোনালি আলোয় সমুদ্রের মনোরম সব মুহূর্ত। পরিচালকের কথায়, ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ শুধু একটি গল্প নয়, এটি একটি আবেগ, যেখানে সমুদ্রের মতই গভীর বাবা-মেয়ের সম্পর্কের ওঠানামা। দিঘার পরিবেশ, প্রকৃতি এবং স্থানীয় মানুষের সহযোগীতা শ্যুটিংকে অনেক হেল্পফুল করেছে।
advertisement
পরিচালক অর্ণব মিদ্যা ছবির মূল ভাবনা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বাবা-মেয়ের সম্পর্কের মত সহজ অথচ জটিল বিষয়কে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। মানুষের জীবনের প্রথম পদক্ষেপে বাবা-মায়ের হাত যেমন শক্তভাবে পাশে থাকে, তেমনই জীবনের শেষ পথটাতেও বাবা-মায়ের ভরসা হয়ে দাঁড়ায় সন্তানরা। কিন্তু বাস্তব জীবনে অনেক সময় দেখা যায় সম্পর্কের দূরত্ব সমস্ত হিসেব পাল্টে দেয়। ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ সেই দূরত্ব, অভিমান, ভুল বোঝাবুঝি এবং পুনর্মিলনের গল্প। চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এখানে অভিনয় করেছেন বাবার চরিত্রে, আর রুক্মিণী মেয়ের ভূমিকায় তাঁর সঙ্গে তৈরি করেছেন আবেগঘন রসায়ন।
ছবিতে রুক্মিণী ও চিরঞ্জিত ছাড়াও অভিনয় করেছেন অঞ্জনা বসু, তুলিকা বসু, সন্দীপ্তা ভট্টাচার্য, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণয় দাশগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার, অমিত কুমার দত্ত, দিব্যজ্যোতি রক্ষিত, মৌসুমী ছেত্রী, সুমিত সাহা, সৌরভ সমাদ্দার-সহ আরও অনেকে। পারিবারিক আবেগ, সামাজিক বার্তা, সম্পর্কের ওঠানামা— সবকিছু মিলিয়ে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ হয়ে উঠেতে চলেছে সম্পূর্ণ পারিবারিক ছবি। ছবির নির্মাণ, কাহিনি, অভিনয় — সব মিলিয়ে বড় পর্দায় এটি দর্শকদের নতুন অভিজ্ঞতা দেবে বলেই মত চলচ্চিত্র মহলের একাংশের। ২৮ নভেম্বর মুক্তির দিনে দর্শকদের কতটা ভালবাসা আসে, তার দিকেই এখন তাকিয়ে গোটা টিম।





